1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন

আশাশুনির কালকী স্লুইস গেট সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে মহাদ্দিস রবিউল বাশার

শরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর প্রতিনিধি : 
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর প্রতিনিধি : 

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত কালকী স্লুইস গেটের মুখে পলি জমা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া ও সংশ্লিষ্ট সমস্যা সরেজমিন দেখতে ও জানতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। শনিবার সকালে নেতৃবৃন্দ গেটের কাছে এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে খোজ খবর নেন। নেতৃবৃন্দ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে সকলকে আশ্বস্থ করেন।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় টিম সদস্য এবং সাতক্ষীরা-৩ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে কালকি গেটের কারনে সৃষ্ট সমস্যার কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছি। আজকে সরেজমিন এসে বিস্তারিত সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হলাম। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও এলাকার পরিস্থিতির কথা শুনে খুবই বেদনা পেয়েছি ও হতাশ হয়েছি। ডিসি সাহেবকে বলবো এবং সমস্যা সমাধানে সার্বিক ভাবে চেষ্টা করবো।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,এটি একটি কঠিন সমস্যা,এর সমাধান ব্যতীত কোন বিকল্প নেই।যে কোন মূল্যে সমাধান করা হবে ইনশাল্লাহ।আমাদের কর্মীরা যে চাঁদা দেয় প্রয়োজনে সেই টাকা ব্যয় করে হলেও যদি জলাবদ্ধতা দূর করা যায়,মানুষের কল্যাণ হয় তাই করা হবে।

খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের ১৪ টি গ্রামের মানুষ কালকি গেটের কারনে ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার কারনে সাপার করছে। প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির ধান ও ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে এলাকা ফসলি জমি নষ্ট ও গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে থাকে। বসত ঘরে পানি ঢোকে,পথঘাট ডুবে যায়। জীবন জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘর ছেড়ে চলে যায়। পুরো বড়দল ইউনিয়ন লবণ পানি মুক্ত,এখানে কোনো লোনা পানির মাছ চাষ হয় না। বর্ষা মৌসুমে বিলের ও গ্রামের পানি কপোতাক্ষ নদে নিষ্কাশন করা হয়ে থাকে। অন্য মৌসুমে অধিকাংশ জমি পতিত থাকে এবং এলাকায় ব্যাপকভাবে গবাদি পশুর চাষ হয়ে থাকে। এই বিল বর্ষা মৌসুম বাদে গবাদি পশুর চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু এখন গবাদি পশু পালন করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

মতবিনিময় কালে উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার,নায়েবে আমীর নূরুল আফছার মোর্তজা,কর্ম পরিষদ ও শুরা সদস্য এড. শহিদুল ইসলাম,খাজরা ইউনিয়ন আমীর মাওঃ মোস্তাফিজুর রহমান,সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুর রশিদ, অবঃ পুলিশ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান,প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার মন্ডল,মেম্বার তারক চন্দ্র মন্ডল,মেম্বর অসীত কুমার ঘোষ,শিক্ষক কালি কিংকর মন্ডল, মিজানুর রহমান গাইন,মাহবুবুর রহমান,মাস্টার আনারুল ইসলাম,হাবিবুর রহমান লিপুসহ এলাকার শত শত মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন ও মতামত ব্যক্ত করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট