আবদাল মিয়া
নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরিপূর্ণ জনবল ও উপকরণ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সরকারি ঔষধসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনেক ক্ষেত্রেই রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। নামে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও অর্ধেক শয্যারও জনবলও নেই। যে কারণে রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলার দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
প্রয়োজনীয় জনবল ও উপকরণ না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। রোগীর রক্ত, বমি, প্রস্রাব, পায়খানা নিয়মিত পরিস্কার করা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি রোগী ও রোগীদের স্বজনদের পানের পিক, বিভিন্ন খাবারের উচ্ছিষ্ট ও চিপস বিস্কিট প্যাকেট ফেলে পরিবেশ নষ্ট করাও স্বাস্থ্য সেবায় বিঘ্নতা ঘটানোর নামান্তর।
রোগীদের জন্য খাবার পানির সংকটের অভিযোগ রয়েছে, সরে জমিনে দেখা যায় খাবার পানির জন্য দোতলা থেকে নেমে প্রায় আড়াইশো ফুট দূরে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে একটি টিউবল রয়েছে জেটি থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়,পানির অভাবে এবং শৌচাগার নিয়ম তান্ত্রিক ব্যবহার না করার ফলে নোংরা পরিবেশে রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের সাথে আলাপকালে জানা যায়,চা-বাগান অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোরে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সে তুলনায় হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফের সংখ্যা সেই অনুপাতে অনেক কম। এখানে একজন ডাক্তার আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগীকে সেবা দিতে হয়। যা উন্নত স্বাস্থ্য সেবার জন্য বিশাল অন্তরায়।
নানা অভিযোগ এবং উন্নত সেবা নিশ্চিতকল্পে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর সাথে, তিনি বলেন- সেবাগ্রহীতাদের অসচেতনতা ও অসহযোগিতা হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে কিছুটা বাধাগ্রস্থ করছে। কে বা কারা পানির টেপ, গুলো, ভেঙ্গে ফেলে অথবা খুলে নিয়ে যায়, বারবার কত সময় লাগাবেন বাজেটের বাইরে এই কাজ গুলোও অনেক সময় আমাদের করতে হয়। এ বিষয়ে তিনি যা বলেছেন।