নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী (৫৯) মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসায় বাথরুমে ধূমপানের সময় গ্যাস লাইটারের বিস্ফোরণে তার শরীরের ৭৪ শতাংশ পুড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় তার শ্বাসনালীও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং রাতে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং তিনি প্রাণ হারান।
বাবুল কাজী ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের অন্যতম সদস্য। তিনি আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও উমা কাজীর ছোট ছেলে। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী। পরিবারের এই অকাল মৃত্যুতে কাজী নজরুল ইসলামের বংশে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
বাবুল কাজীর মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, শোকাহত দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনও। কাজী নজরুল ইসলামের বংশধর হিসেবে তিনি সবার পরিচিত ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মহল থেকে শোকবার্তা আসছে। তার আত্মার শান্তি কামনা করে অনেকে বলছেন, “এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।”
বাবুল কাজীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। তার স্মৃতিকে ধারণ করে তারা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছেন। তার শেষকৃত্য সম্পর্কে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, সময় ও স্থান শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের এই ক্ষতি শুধু তাদের নিজস্ব ক্ষতি নয়, বরং এটি পুরো জাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। কাজী নজরুল ইসলামের বংশধর হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে মানুষ সোচ্চার।
আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।