হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী হাসান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
নীলফামারী জলঢাকায় অদৃশ্য শক্তির জোরে চাকুরীর শুরু থেকে এখন পযর্ন্ত স্কুলে না গিয়ে সরকারি অংশের বেতন ভাতা তুলে আয়েশি সংসার জীবন কাটাচ্ছেন হাবীবা বেগম নামের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাবস্হা না নিয়ে অসুস্থতা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
এতে প্রতিষ্টানে কর্মরত শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানাযায়, হাবীবা বেগম গত ২০২৩ সালের ১২ই জুন আয়া পদে বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করেন ।
তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে বুধবার পযর্ন্ত একবারই প্রতিষ্ঠানে যান। তাও আবার চাকুরীর মিষ্টি খাওয়ার জন্য। তারপর থেকে বর্তমান সময় তিনি বাড়িতে সংসারের কাজ করে যাচ্ছেন। এতে তার কোনো জবাবদিহি নাই।
তার এহেন কর্মকান্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতির জন্য প্রধান শিক্ষক বা ম্যানেজিং কমিটি থেকে তাকে কোনো কারন দর্শানোর নোটিশও দেননি।
এদিকে হাবীবার বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে দেখেন যে তিনি আর সব সুস্থ মানুষের মতই জীবন যাপন করছেন।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি ওঠানে ঝাড়ু দেওয়া সহ অন্য সব কাজ করছেন।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতিতের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অপারেশনের কথা বলে, বলেন যে, আমি মাঝে মধ্যে যাই। ওখানে অনেক মহিলা আছে আমার তো স্কুলে কোনো কাজ নেই। আপনারা যেহেতু বলছেন আমি কাল থেকে আবার স্কুলে যাবো।
হাবীবা স্কুলে না আসায় বিভিন্ন কাজে শিক্ষক, কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যার সমূক্ষীন হতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী শিক্ষক জানান হাবীবা না থাকায় বাইরে থেকে কোন মেহমান আসলে তাকে সন্মান করতে পারিনা। অথচ তিনি বাড়িতে বসেই প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে বেতন ভাতা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম জানান, হাবীবা অসুস্থ বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না তাই আসে না। বিষয়টি সবাই জানে। তবে তার ছুটির জন্য কোনো আবেদন বা ডাক্তারের কাগজপত্র নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বগুলাগাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্হা গ্রহণ করা হবে।