জুবায়ের রহমান : ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ হচ্ছে এর চাষ। অভিযোগ রয়েছে, কৃষি বিভাগের উদাসীনতা ও তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রলোভনে সর্বনাশা চাষ বাড়ছে।
তামাকচাষিরা বলছেন, বিভিন্ন কোম্পানির সার-বীজসহ নানা প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তাঁরা তামাক চাষ করছেন। জানতে চাইলে উপজেলার করমদি গ্রামের তামাকচাষি সাকলাইন আলী বলেন, ‘১ বিঘা জমিতে তামাকের আবাদ করতে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এর জন্য বিটিসি কোম্পানি আবাদ করার জন্য স্যার, বিষ, ঘর তৈরি ও বীজের জন্য টাকা দিয়েছে। পোশাক তৈরি করার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছে। তিন থেকে চার মাসের এই আবাদে ১ লাখ ৫০ টাকা লাভ হবে আশা করছি। তিন মাসের আবাদে যে লাভ হয়, তা অন্য ফসলে আদৌ সম্ভব নয়।’
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ৫২৫ হেক্টর জমিতে তামাকের আবাদ করা হয়েছে। গত বছর ৫০০ হেক্টরে আবাদ হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবার চাষ বেড়েছে। অনেক চাষি বেশি লাভের আশায় তামাকের আবাদ করছেন। তবে কৃষি অফিস থেকে তাঁদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
তামাকচাষিদের স্যার, বীজসহ বিভিন্ন সুবিধার বিষয়ে জানতে বিটিসির এক মাঠকর্মীকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, তামাক চাষ গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য কাজ করছে কৃষি অফিস।