শহীদুল ইসলাম শাহেদ, টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফনদী থেকে ৪টি মাছ ধরার ট্রলারসহ আরও ১৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে ট্রলারগুলো ও জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, ৪টি ট্রলার ও ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সাথে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে দুটি ট্রলার টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাটের এবং অপর দুটি শাহপরীর দ্বীপ ঘাটের বলে জানান তিনি।
টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, টেকনাফের ফেরার পথে কায়ুকখারী ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার। অন্যদিকে শাহপরীর দ্বীপ মাঝের পাড়া নৌঘাটে সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর জানান, শাহপরীর দ্বীপ মাঝপাড়া ঘাটের দুই ট্রলারসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে।
এর মধ্যে শাহপরীর দ্বীপের ঘাটের ট্রলার দুটির মালিক মো. কালাইয়া ও জাফর আলম বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অপর দুটির মালিকের নাম জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদী মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে গেছে আরাকান আর্মি। তাদের গত ১০ দিনেও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।
তারও আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌবাহিনী।
এ সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
এছাড়া ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)