জুবায়ের রহমান ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা ও আটক হয়নি।
এদিকে ঘটনার দ্বায় স্বীকার করে ক্ষুদে বার্তা দিয়েছে জাসদ গণবাহিনীর প্রধান কালু।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ক্ষুদে বার্তা প্রদানকারীকে শনাক্ত করতে সাইবার ইউনিট কাজ করছে। আজ দুপুরে শৈলকূপা থানা থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে লাশ নিতে মর্গে এসেছেন স্বজনরা। ভীড় করছেন উতসুক জনতা।
শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্বশানঘাট এলাকা থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ১০টার দিকে শ্বশানঘাট এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে ২ টি মোটরসাইকেল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের বাসিন্দা হানিফ।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান তিনি পুর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। আরও দুজন হলেন হরিনাকুন্ডু উপজেলার শ্রিরামপুর গ্রামের লিটন (হানিফের শ্যলক) ও কুষ্টিয়ার ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল। জানাযায় হানিফ চরম পন্থি দলের নেতা থাকায় পুর্বশত্রুতার জেরে জাসদ গনবাহিনির হাতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু একটি হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাছেজে জানায়। নিহত হানিফের ভাই সাবেক হরিনাকুন্ডু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান এশা বলেন পারিবারিক ভাবে আলোচনা শেষে মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান এ বিষয়ে থানায় এখনো মামলা হয়নি।এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।