মোঃ আলামিন হোসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া কাচের চড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে মাটির ঘরে ঝুঁকি নিয়ে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নে ২ একর জমির উপর ১৯৭২ সালে কাঁচের চড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫২ বছর অতিক্রম করলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বিদ্যালয়টি। শ্রেণী কক্ষ ও আসবাবপত্র সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা কষ্টে পড়ালেখা করছে।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৩০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। বিদ্যালয়টির ১০টি শ্রেণী কক্ষের সবগুলোই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শ্রেণী কক্ষগুলো ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় ২০১৪ সালে নির্মিত প্রশাসনিক ভবনে জোড়াতালি দিয়েই ক্লাশ পরিচালনা করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।
মাটি ও সেমি-পাকা দেওয়াল আর ফুটো হওয়া টিনের চাল নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। শ্রেণীকক্ষের দেওয়ালের আস্তর খুলে পরেছে অনেক আগেই। টিনের চাল অসংখ্য স্থানে ফুঁটো হয়ে গেছে। তাছাড়া টিনগুলো বিগত সময়ের ঝড়ে দুমরে মুচরে গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে মেরামত করা না হলে আর পাঠদান সম্ভব হবে না।
এছাড়া সীমানা প্রাচীর না থাকায় অবাধে গরু-ছাগল প্রবেশ করে মাঠের পরিবেশও নষ্ট করছে। পাশাপাশি রাতে বিদ্যালয়ের মাঠে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে বলেও অভিযোগ আছে।
শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। শ্রেণী কক্ষ সংকট সমাধানে তা সংস্কার ও নতুন একাডেমি ভবন নির্মাণের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ।
জানান স্কুলটির সমস্যার কথা অনেক আগেই জেনেছি। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। অর্থ ছাড় হলেই সমস্যার সমাধান হবে।’