শহীদুল ইসলাম শাহেদ,টেকনাফ
প্রায় তিন মাস পর কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে মুহুর্মুহু গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে ভূকম্পনের আদলে কেঁপে উঠেছে বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা। এ নিয়ে টেকনাফ উপজেলা সদর সহ আশপাশের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে ফের আতঙ্ক আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভা খাংকার ডেইল সীমান্তের ঠিক ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এর দুইদিন পর ৮ ডিসেম্বর দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশীপ সহ সীমান্তের আশপাশের অধিকাংশ এলাকায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছিল। এরপর থেকে আর কোন বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমান্তের বিকট শব্দ শোনা যায়নি।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাংখার ডেইল স্থানীয় বাসিন্দা রহিমউল্লাহ শরীফ বলেন, টেকনাফের কাংখার ডেইল সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের মংডু টাউনের সুদাপাড়া ও নাপিতের ডেইল এলাকা। রাতে ওখান থেকেই আকস্মিক পরপর দুইটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিকট বিস্ফোরণের প্রথম শব্দটি শোনার পর ৫ থেকে ১০ মিনিট পরই আরেকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে। এতে কেঁপে উঠেছে এপারের বসত ঘরসহ নানা স্থাপনা। এ ঘটনায় কারও কারও বসত ঘরের দেওয়াল ও স্থাপনায় ফাটলও ধরেছে।
এ জনপ্রতিনিধি আরো বলেন, স্থানীয় লোকজন ভূমিকম্প বলে ধারণা করলেও পরে সকলেই বুঝতে পারেন এটি মিয়ানমারের বোমা হামলা। যার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এপারেও ভেসেছে। আকস্মিক বিস্ফোরণের বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ঘটনার পরপর বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সীমান্তের টহল জোরদার করেছেন।