1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
শান্তিগঞ্জে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের সুস্থতা কামনা করে দোয়া মাহফিল মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে শিশুকে হ,ত্যা ঝিনাইগাতীতে বিদেশী মদ সহ অটোরিক্সা জব্দ মতলব উত্তরে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত  গফরগাঁওয়ে মশাখালীতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মৃ ত্যু বাংলাদেশ না পারছে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে’ চোর, ডাকাত ও ঘুসখোরদের হজ আল্লাহ কবুল করেন না’ধর্ম উপদেষ্টা পুলিশের হাতে ডিবি পুলিশ আটক মুকসুদপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাবির মিয়া ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন  বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে নবজাতক শিশুর মৃ,ত্যু

শুকিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি গোলদীঘি ও বাজার ঘাটা পুকুরের পানি

জাওয়ান উদ্দিন কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি 
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী লালদীঘি, গোলদীঘি এবং বাজার ঘাটা পুকুরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকাল ও রোদের প্রখরতায় পুকুরগুলোর পানির স্তর অনেকটাই কমে গেছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলে এগুলো সাধারণত পূর্ণ থাকে, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মাটির স্তর স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, একসময় এই পুকুরগুলো কক্সবাজার শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান ছিল এবং নানা কাজে ব্যবহৃত হত। তবে বর্তমানে দীর্ঘ সময় ধরে পানি কমে যাওয়া এবং পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে ঐতিহ্যবাহী এসব জলাশয়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বিশেষত, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (KDA) গত কয়েক বছরে তিনটি পুকুরের সংস্কার এবং সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু পানি না থাকার কারণে এখন এসব উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে।

বাজার ঘাটা পুকুরে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করে স্থানীয়রা জানান, গত দুই বছর আগে বর্ষা মৌসুমে গোসল করতে নেমে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘটে। তার পর থেকে এই পুকুরে গোসল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটে গত বছর গোলদীঘি পুকুরে, যেখানে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের মতে, পানি কমে যাওয়ায় পুকুরগুলোর গভীরতা বাড়ে এবং তাই সেখানে কোনোরকম দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

যতদূর জানা গেছে, এই পুকুরগুলোতে পানি সরবরাহের জন্য স্থানীয়রা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, পানি ফিরিয়ে আনতে হলে পুকুরগুলোর গভীরতা বাড়ানো ও যথাযথ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি ঐতিহ্যবাহী পুকুরগুলোর সৌন্দর্য এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনঃস্থাপনের জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এগুলো শুধু আমাদের ঐতিহ্য নয়, কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক অংশও। আমরা চাই আমাদের পুকুরগুলোর পানি ফিরিয়ে আনা হোক, যাতে এই ঐতিহ্য চিরকাল টিকে থাকে।

কক্সবাজার শহরের রূপকারি পুকুরগুলোর এই সংকট কেবল স্থানীয়দের জন্যই উদ্বেগজনক নয়, বরং পর্যটকদের জন্যও তা এক নতুন সংকটের জন্ম দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য একটি বড় আকর্ষণ, এবং এই পুকুরগুলোর পানির সংকট যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা শহরের পর্যটন খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

পুকুরগুলোর ঐতিহ্য ফিরে পেতে এবং সেগুলোর পানি সংকট মেটাতে তারা স্থানীয় প্রশাসন এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুধু সৌন্দর্য বর্ধনই নয়, বরং পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে পুকুরগুলোর সংস্কার করা হলে তা এলাকার পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক বিরাট সহায়ক হবে।

এই সংকট মোকাবেলা করতে হলে কি ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, সেটি কক্সবাজারের কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। তবে, আশা করা যায় যে এই ঐতিহ্যবাহী পুকুরগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কক্সবাজারের নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে কিছু স্থানীয় সংগঠন, সামাজিক কর্মী ও এনজিওগুলো পানি সংকটের সমাধানে কাজ শুরু করেছে। তবে, কেবল সরকারী উদ্যোগ নয়, স্থানীয়দের সহযোগিতাও জরুরি যাতে কক্সবাজার শহরের ঐতিহ্য চিরকাল টিকে থাকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট