নিজস্ব প্রতিবেদন
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর মেট্রো থানার অফিসার ইনচাজ( ওসি) মেহেদি হাসান ও এ এস আই রশিদ এর সহযোগীতায় ডাকাতি মামলার ০১ নং আসামি বন্যা আক্তার (২৫) গ্রেফতার না হয়ে উল্টা ডাকাতি মামলার বাদী আজকের সংবাদ সম্মেলন এর ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান গত ২৫/০১/২০২৫ তারিখ পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে বন্যার বাসায় আমাকে হামলা ও নির্যাতনের ঘঠনা গঠে। বন্যা একজন দেহ ব্যবসায়ী ও নারীর দালাল হিসেবে চাপুলিয়ায় পরিচিত মুখ। তার ভাড়া করা সন্ত্রাস ও নারী চাপলাইকারী সদস্য সহ আমাকে রুমে টেনে হিসড়ে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে রেখে আমার হাত পা বেদে আমার উপর নির্যাতন করে।
আমার মোবাইল ফোন সিনিয়ে নিয়ে আমার স্ত্রীর ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে অটো গাড়িটি নিয়ে তাদের পছন্দ মত নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। এবং মোঃ নাহিদ রানা ও বন্যার স্বামী হাসর আলী মিলে আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক ব্লাং ( খালি) স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। ঐ সময় আমার সাথে থাকা গ্রাম থেকে জমিন বিক্রি করে আনা নগদ ১ লক্ষ টাকা ও ৪ আনা ওজনের একটি সোনার আংটি চিনিয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম
তিনি আর বলেন এ বিষয়ে পরের দিন সদর মেট্রো থানার সাবেক ওসি আরিফুল ইসলাম কে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তিনি একটি অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। ঐ ঐদিনই একটি লিখিত অভিযোগ করি। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামরুল ইসলাম কে দ্বাইত্ব দেন তৎকালীন ওসি। তদন্তকারী কর্মকর্তা দেখি দেখতাছি বলিয়া সময় অতিবাহিত করলে এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশের উওর ( ক্রাইম) ডিসি কে আমার অভিযোগের ব্যবস্তা না নেওয়ার কথা জানাই। তিনি অভিযোগ পত্রে আইন আনুগ ব্যবস্হা গ্রহণ করার জন্য লিখে দেন ও আমার সম্মুখে ফোন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা করতে বলেন
পরে ডিসি সাহেবের সুপারিশ সহ সাবেক ওসির সাথে দেখা করলে ওসি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার উপর রাগান্বিত হন। এবং ওসি আরিফুল ইসলাম জানান যদি আমার বিবাদী ০১ নং আসামি যদি আগামীকাল আমার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা করেন তখন আমি কি করবো বলে আমাকে ধমক দেয় ও নোংরা ভাষায় কথা বলে
তিনি আর বলেন গত ৬/০৩/২০২৫ ইং তারিখে দৈনিক জাগ্রত সংবাদ ও দৈনিক প্রভাতি বাংলাদেশ প্রত্রিকায় ” গাজীপুরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও গ্রেফতার হচ্ছে না নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা ” শিরোনামে সংবাদ প্রচারের পর গত ৮/০৩/২০২৫ইং তারিখে আমার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামরুল ইসলাম ডাকাতি কৃত অটো গাড়ি ও ০২ নং আসামি ডাকাত মোঃ শামীম কে গ্রেফতার করে সদর মেট্রো থানায় নিয়ে আমাকে দেখা করতে বলে।
এস আই কামরুল ইসলাম এর কথা মত গতকাল রাত ৮ ঘটিকার সময় সদর মেট্রো থানায় গিয়ে তাকে ফোন করে দেখা করতে চাইলে তিনি আমাকে তদন্ত ওসি সিদ্দিক সাহেবের সাথে দেখা করার পরামর্শ / কথা বলেন। তদন্ত ওসি সিদ্দিক সাহেবের রুমে আমার অভিযোগের পর্যালোচনা করার সময় মোঃ নাহিদ ওরফে কিশোর গ্যাং নেতা বোটকা নাহিদ সহ ১০/১২ জন ঐ রুমের সামনে ঝড় হয়। এবং বাহিরে আসতে বলেন যে আমরা থেকে মিমাংশা করে দেব বলে আমাকে ডাকিয়া থানার বাহিরে নিয়ে আসে। এবং আমাকে মামলা উঠিয়ে নিয়ে থানা হাজতে থাকা আসামি শামীম কে ছাড়িতে দিতে হবে বলে হুমকি দমকি দিতে থাকে
তিনি আর বলেন নাহিদ ওরফে বোটকা নাহিদ তাকে বলেন আজকে যদি তার কথামত মামলা প্রত্যাহার না করে আগামীকাল থেকে আমার পরিবার কে ঘন কবরে পরিনত করবে বলে আর নোংরা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন রাত প্রায় ১০ ঘটিকার সময় আমার অভিযোগের ০১ নং আসামি বন্যা আক্তার থানায় এসে আমাকে ও আমার পরিবার কে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ শৃস্টি করে এবং বলে যদি আমি মামলা উঠিয়ে না নেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিতে তাকে নাহিদ ভাই না কি বলছে একথা বলে থানার বিতরে গিয়ে এ এস আই রশিদের সাথে আমার সামনে পরামর্শ করে। এ এস আই রশিদ বন্যা কে একটি ধর্ষণ মামলা করার পরামর্শ দেন। এ এস আই রশিদ আর বলেন আমি ওসি স্যারের সাথে সব কথা বলে রাখছি যদি কথা না শুনে তাহলে তাকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠালে ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান এ এস আই রশিদ
ভুক্তভোগী রফিকুল আর বলেন বন্যা ও এ এস আই রশিদ সহ বর্তমান ওসি মেহেদী হাসানের রুমে গিয়ে পরামর্শ করে ওসি মেহেদী হাসান ও এ এস আই রশিদের সহযোগীতায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে ফিল্মী কায়দায় থানা থেকে আমাকে সাশাতে সাশাতে বাহির হচ্ছে আর বলছে ওসি ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমাকে গ্রেফতার না করা এবং তোর বিরুদ্ধে মামলা করতে সহযোগীতা করেছে। বন্যা আর বলেন এই থানার পুলিশ আমার হাতের মুঠোয় আছে তুই আমার কিছুই করতে পারবি না
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন আমি গরিব মানুষ। আমার কোন টাকা পয়সাও নাই এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রফিকুল
তিনি বলেন আপনারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি বর্তমান সরকারের স্বররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার সহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আমার ডাকাতি হওয়া অটো গাড়ি টাকা পয়সা আংটি উদ্ধার করে আমাকে ফেরত পেতে সহযোগিতা করুন এবং মিথ্যা ও হয়রানি মুলক ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি