মোঃ আলামিন হোসেন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দশ বছর বয়সি চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী ডিপটি ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠায় গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযুক্ত ডিপটি ফকির ওই গ্রামের মৃত জয়না ফকিরের ছেলে।
এরআগে, বুধবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত শিশুটি একই গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের পশ্চিম পোগইল গ্রাম থেকে অভিযুক্ত ডিপটিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার পর অভিযুক্ত ডিপটিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, শিশুটি প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বুধ্যবার রাত ৮টায় বাড়ীর পাশের টয়লেটে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে ডিপটি ফকির ওই শিশুর মুখ চেপে ধরে পাশের খড়ের পালায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় হঠাৎ শিশুটির মুখ থেকে হাত ফসকে গেছে সে চিৎসার দেয়।
চিকিৎসার শুনে মকবুল তার পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় ডিপটি ফকির পালিয়ে যায়। এরপর শিশুটির মুখে সবকথা শুনে নির্যাতিতার বাবা আজ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, অভিযুক্ত ডিপটি ফকিরের ছেলে সজিব খন্দকারের অভিযোগ, তার বাবাকে জোড় করে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যপারে তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
সজিব এজাহারের উল্লেখ করেন, তার বাবা সন্ধ্যা ৮টা ৫০ মিনিটে পশ্চিম পগইল সরকারপাড়া জামে মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজ পড়তে যায়। এরপর বাড়ী এসে শুয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মকবুলের ডাকাডাকিতে ডিপটি ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে এলে তার ওপর আক্রমণ ও মারপিট করে তার বাড়ীতে তুলে নিয়ে যায় এবং ফোন করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে আনিত ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়।