মোঃ আলামিন হোসেন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহতদের (‘গ’ শ্রেণি) ‘জুলাই যোদ্ধা’গেজেটে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২৪ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। গত ৪ মার্চ, ২০২৫ (মঙ্গলবার) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখার প্রজ্ঞাপনটির অতিরিক্ত সংখ্যা ৫ মার্চ, ২০২৫ (বুধবার) প্রকাশ হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব (গেজেট) হরিদাশ ঠাকুর স্বাক্ষরিত আদেশটি জারি করা হয়।
রংপুর বিভাগের ‘গ’ আহত শ্রেণির গেজেটে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের ২১ জনের তালিকায় রয়েছে-
দরবস্ত ইউপির বিশুবাড়ী গ্রামের আ. হামিদ গাছুর ছেলে মো. সিদ্দিক মিয়া (গেজেট আইডি নং ১১৬ ও মেডিকেল কেস নং ১৯৬৪); কামদিয়া ইউপির মাহিশমুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমান মণ্ডলের ছেলে মো. আতিকুজ্জামান স্বাধীন (১২১/৩৬২৩); শিবপুর ইউপির শ্রীমুখ গ্রামের মো. আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রাব্বি মিয়া আকাশ (১৩০/৫২৪০); পৌরসভার মাস্টার পাড়ার মো. সাহেন সরকারের ছেলে মো. জারীফ সরকার তাসিন (১৩১/৫৩৪০); থানাপাড়ার মো. আফতাব হোসেনের ছেলে মো. জান্নাতুল আরিফ শ্রাবণ (১৩২/৫৪০০); সাপমারা ইউপির শ্রীপুর গ্রামের মো. খাজা মিয়ার ছেলে মো. আলমগীর মণ্ডল (১৪২/৮১০৫); তালুককানুপুর ইউপির সুন্দইল গ্রামের মো. মোহাম্মাদের ছেলে মো. তাজমিন মিয়া (১৪৬/১৭৪৯০); শালমারা ইউপির বুড়াবুড়ি গ্রামের মো. সাদেক আলীর ছেলে মো. মনজু (১৫৫/২২৮৬৩); রাজাহার ইউপির গোপালপুর গ্রামের মো. ছাত্তার মিয়ার ছেলে মো. নয়ন মিয়া (২১৭/৩১১৬৪); কামারদহ ইউপির ঘোড়ামারা গ্রামের মো. রফিকুল সরদারের ছেলে মো. শাহীন মিয়া (২১৮/৩১১৭৪); শাখাহার ইউপির দেওনালা গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আজিজুল হক (২৩২/৩১৩৪২); পৌরসভার একতাপাড়ার হীরক রোডের খগেন চন্দ্র মহন্তর ছেলে সাধন কুমার মহন্ত (২৫৭/৩৩৩৪০); বুজরুক বোয়ালিয়ার হিরক পাড়ার মো. আকতার হোসেনের ছেলে মো. তানভীর আকতার (২৫৮/৩৩৩৪১); তালুককানুপুর ইউপির সুন্দইল গ্রামের মো. ছাদেকুল ইসলামের ছেলে মো. মাহমুদুল হাসান (২৬৬/৩৪৩৮৪); দরবস্ত ইউপির বিশুবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের মো. তোজাম্মেল হকের ছেলে মো. মাহাবুব আকন্দ (২৬৭/৩৪৬৩০); তালুককানুপুর ইউ ছোট নারিচাগাড়ী গ্রামের কে এম সাইফুর রহমানের ছেলে কে এম নুরুল্ল্যাহ মণ্ডল (২৬৮/৩৪৭৭৬); কাটাবাড়ী ইউপির মালেকাবাদ-বাগদাহাটের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সবুজ হাসান বিপ্লব (২৮৫/৩৬৭৬৪); রাখালবুরুজ ইউপির কুন্দেরপাড়া গ্রামের মো. মণ্টু প্রধানের ছেলে মো. গোলাম প্রধান (২৮৮/৩৭০৮২); কোচাশহর ইউপির হরিপুর গ্রামের সৈয়দ আব্দুর রউফের ছেলে সৈয়দ আবু হোসাইন (২৮৯/৩৭৪৯৯); মহিমাগঞ্জ ইউপির পুনতাইড় গ্রামের মো. মোনার প্রধানের ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন (২৯০/৩৭৫০৮); নাকাই ইউপির ডুমুরগাছা গ্রামের মো. মুছা মিয়ার ছেলে মো. রিয়ন খন্দকার (২৯৪/৩৭৭৩৮); কামদিয়া ইউপির আয়ভাংগী-আয়েজাবাদ গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (২৯৭/৩৭৭৯৬); কোচাশহর ইউপির কানাইহাট গ্রামের মো. শাহিন মণ্ডলের ছেলে মো. মাসুদ মিয়া (৩০৩/৩৮৪০৪); রাখালবুরুজ ইউপির পলাশবাড়ী গ্রামের মো. আজগর আলী সরকারের ছেলে এসএম আহনাফ আবিদ (৩০৪/২৭৩৬১)।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।