1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে দিমুখী আলোচনা 

মো,সহিদ মিয়া, সুনামগঞ্জ, বিশেষ প্রতিনিধি 
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

মো,সহিদ মিয়া, সুনামগঞ্জ, বিশেষ প্রতিনিধি 

সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে দি মুখী আলোচনা চলছে জনসাধারণের মাঝে, মৎস্য ধানের জেলা সুনামগঞ্জ, ৩৬৬৯,৫৫বর্গ কিলোমিটারের আয়তন এর অন্তর্ভুক্ত সুনামগঞ্জ জেলা, যে জেলায় উৎপাদন হয় অন্যান্য জেলার তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ধান মৎস্য,জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষর চেয়ে উপরে, ওই জেলায় বিশাল_বিশাল হাওর রয়েছে যেমন উল্লেখযোগ্য, পাখনা, টাঙ্গুয়া,দেখা, হালিয়া, মাটিয়ান, চন্দ্র সোনার তাল, ধারাম, আঙ্গারুলি,করচা, নলুয়া, সহ বড় বড় জলমহাল মৎসরাজির জন্য অবয় আশ্রয় ৯৫টি হাওর, উল্লেখযোগ্য এবং নদীর রয়েছে ২৬ টি,বিশেষ কয়েকটি মধ্যে সুরমা,কুশিয়ার,ঝালোখালি, আবুয়া, জাদুঘাটা, সোমেশ্বরী, উপজেলা রয়েছে ১২ টি ওই জেলার প্রধান আয়ের উৎস ধান এবং মৎস্য, বালি, চলতি বোরো মৌসুম ফসলের সুরক্ষায় হাওরে ৫৮৭ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ৬৮৭টি প্রকল্পের মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২০২৪ এর ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ এর ২৮ মার্চ পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণ করা হয় তবে বিশেষ কারণে আরো ১০ দিন বাড়িয়ে ৮তারিখ সিদ্ধান্তে গৃহীত হয়, তবে সেই তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয় নি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ এর কাজ এ বেপারে আমি কয়েক জন কে লাইভে কনফারেন্সে আমন্ত্রণ করি এবং তারাও যথাসময়ে উপস্থিত হন এবং দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার হাওর বাঁচাও আন্দোলন এর সংশ্লিষ্ট কয়েক জন এর মধ্যে মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন ওবায়দুল হক মিলন,চিনি বলেন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ২৮ তারিখের পরিবর্তে যদিও ৮ তারিখ পর্যন্ত দেওয়া হয় তবে এখন পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হয় না,মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ সম্পূর্ণ হয়েছে এ সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রতিনিধি জনাব আবুল সাঈদ জগন্নাথপুর উপজেলার প্রতিনিধি শামসু মিয়া,ধর্মপাশা উপজেলার প্রতিনিধ,তারা আরো বলেন যেভাবে বেকার হয়েছে আমরা শংকিত বৃত সন্তোষ তো কারণ বিগত 17 সালে এইভাবে কাজ হয়েছিল এবং আমাদের সুনামগঞ্জের অনেকগুলি বড় বড় হাওর তলিয়ে গিয়েছিল আমরা সেই আবির্ভাব দেখতে পাইতেছি,আমাদের সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছেন প্রতিটি উপজেলায় প্রতিটি পি আই সি র বাঁধকে আমার ঘরের সংসারের মতো মনে করি, শুধু আমরা এখানের মধ্যে লাইভে যারা উপস্থিত রয়েছি তারাই নয় আমাদের সাথে আরো অনেক জন রয়েছেন মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন, আমরা শুনেছি সরকারি ভাবে ঘোষণা দিয়েছেন ১০০ ভাগ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এটা মিথ্যা এটা বানোয়াট, পরেরদিন সুনামগঞ্জের হাওর ফসল রক্ষা বাঁধের সাথে সম্পৃক্ত ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কয়েকজন কে ফোন দেই এবং কথা বলি হাওরের ফসল রক্ষাবাধেঁর বর্তমান অবস্থা কি, তারা বলেন কাজ হয়েছে ১০০ভাগ আবার কেউ কেউ বলেন ৯৬ ভাগ, তখন আমি ওবায়দুল হক মিলনের সংগঠনের নাম বলে ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ বলে থাকি কাজ হয়েছে তখন তারা এই কথাও বলছেন যদিও কাজ না হয় আমরা জানতে চাই আমাদেরকে যেন জানানো হয় অসম্পূর্ণ থেকে থাকলে সেখানে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করব তবে ৫৫ দিন গুলি রয়েছে সেখানে দুরমুজ এখন মারা প্রক্রিয়া দিন রয়েছে,(এই হচ্ছে দিমুখী আলোচনা ) আরেকটি লক্ষ্যনীয় বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলেন যদিও ৯৬ ভাগ কাজ হয় তবে এখন পর্যন্ত যারা পি আই সি আনেন তাদেরকে ৫৫ ভাগ টাকা দেওয়া হয়েছে যদি সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যায় তবে তাদের টাকা কেন দেওয়া হবে না, এ ব্যাপারে সরকারের সুচ্ছার থাকা প্রয়োজন তবে আমি প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে দেখতে পেরেছি যেহেতু আমি ওই এলাকার কৃষকের সন্তান সেই হিসাবে বিগত আট মাস যাবত কোন প্রকার বৃষ্টি নেই আকাশে যেভাবে বৃষ্টি জমা হয়ে আছে যদি হঠাৎ বৃষ্টি নামে আর অতিবৃষ্টি হয়ে যায় তখন এই শুকনা মাটি গলে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাওর রক্ষাবাধঁ, তাই আমি পক্ষ বি-পক্ষ কে বলছি কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সম্মিলিত ভাবে অক্ষমতের ভিত্তিতে জনস্বার্থে আমাদের সুনামগঞ্জের হাওর গুলিকে রক্ষা করুন না হয় আমাদের কৃষকের হাহাকার থামবে না আমি দেশের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে আসুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট