বিশেষ প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশে বালুর গদি থেকে এক শিশুছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলা সদরের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি একটি চটের বস্তায় ভর্তি ছিল। তবে দেহের উপরিভাগ বস্তার বাইরে দেখা যায় বলে জানায় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, মরদেহটির নিচের প্রায় অর্ধেক অংশ ছিল প্লাস্টিকের বস্তায় বাঁধা। গলায় বাঁধা ছিল প্লাস্টিকের লম্বা রশি। তারা ধারণা করছে, কে বা কারা শিশুটিকে তুলে নেওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে বালুর গদিতে ফেলে গেছে।
নিহত শিশুটির নাম সাজিদ আহমেদ সাফাত (৫ বছর ১১ মাস)। সে কাপাসিয়া উপজেলার দস্যুনারায়ণপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী সোহাগ হোসেনের ছেলে। সাফাত দস্যুনারায়ণপুর বঙ্গতাজ প্রি-ক্যাডেট অ্যাকাডেমির নার্সারি শ্রেণির শিার্থী ছিল।
সাফাতের স্বজনরা জানায়,
শিশুছেলেটির বাবা সৌদিতে থাকায় তার মা তাকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় নানাবাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশের সড়ক থেকে সে নিখোঁজ হয়।
সাফাতের মা শান্তা মনি জানান, সড়কের পাশে খেলছিল তাঁর ছেলে। দুপুর সাড়ে ১২টার পর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর কোনো হদিস পাননি তাঁরা। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় কাপাসিয়া থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর-১৩২৩) করেন।
নিহত সাজিত আহম্মেদ সাফাত
শাস্তা মনি অভিযোগি করেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও তাঁর ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো তৎপরতা দেখায়নি।
কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান, আজ সকাল পৌনে সাতটার দিকে প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়ির পাশে বালুর গদিতে তাঁর ছেলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
প্রতিবেশী মিন্টু মিয়া জানান, মরদেহের পা থেকে কোমর পর্যন্ত প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ছিল। গলায় প্লাস্টিকের লম্বা রশি বাঁধা ছিল। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, কে বা কারা শিশুটিকে তুলে নেওয়ার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মরদেহ ফেলে গেছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন শীতলক্ষ্যাকে বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই জড়িতদের শনাক্তসহ গ্রেফতার করতে পারবো।
পরবর্তী সিফাত নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তার সাথে সাফাতের মা’র পরকিয়া ছিল। তাই শিশু সাফাতের মাকে ও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসা করে মুল বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়। মুল ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে শনিবার দিবাগত রাতে মুল আসামি মামুনকে দুস্যুনারায়নপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। যা ছিল সিফাতের পরিকল্পিত। গ্রেফতারকৃত মামুনের দ্বারা সিনেমা স্টাইলে হত্যা করা হয়েছিল।