মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-
দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বারমাসিয়া চা-বাগান, শ্রমিক-কর্মচারীদের উদ্যোগে ১৬ মার্চ (শনিবার) মহতী ধর্মসভা ও অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ ছিল,মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শুভ অদিবাশ, সংকীর্তন, রাতে গৌরলীলা ও কৃষ্ণ লীলা প্রদর্শন, ভোগ নিবেদন, মহা প্রসাদ আস্বাদন, শত শত ভক্তের আগমনে মুখরিত ছিল উৎসব অঙ্গন, যা পরিণত হয়েছিল সনাতনী মিলন মেলায়।
ফটিকছড়ি পূজা উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক জয়পদ চন্দ এর সঞ্চালনায়, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টি কে গ্রুপ এর চা বিভাগের মহা ব্যবস্থাপক কাজী এরফান উল্লাহ, ভূজপুর থানা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি এড মিহির দে, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ধর,সুজন দে, মানষ চক্রবর্তী,ডা.ছোটন দে,বাবলা দে,সুমন দে,পার্থ ঘোষ,অর্জুন নাথ, রুবেল ধর,সাধন চৌধুরী, মিন্টু চৌধুরী সহ ফটিকছড়ি ও ভূজপুরে বিভিন্ন পর্যায়ের সনাতনী নেতৃবৃন্দ।
বারমাসিয়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি বলেন, চা শ্রমিকের কাছ থেকে সাপ্তাহিক ২০টাকা করে চাঁদা নিয়ে এই অনুষ্ঠানটি করা হয়। আমরা প্রতিবছর ৬ থেকে ৮ হাজার মানুষের প্রসাদের ব্যবস্থা করি। সকলে যদি এগিয়ে আসে আমরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে করতে পারব।
বারমাসিয়া চা-বাগানে শ্রীশ্রী দূর্গা, কালী ও হরি মন্দিরের সভাপতি রুবেল ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের মন্দিরের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। চা শ্রমিকদের ২০টাকা চাঁদা দিয়ে ধর্মীয় উৎসব এবং মন্দির মন্দিরের কাজ করা সম্ভব নয়। উক্ত মহতী কার্যক্রমে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এই সময় উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন , পলাশ ঘোষ, আপন কুর্মী, তপন কুর্মী, বিমল কুর্মী, অনুপম ভট্টাচার্য্য, রুপম ভট্টাচার্য্য, রুবেল কুর্মী, উত্তম কুর্মী, অসীম তুরী, অমিতাভ বাগদী, বাবুল কুর্মী, আরো উপস্থিত ছিলেন জনি,রুপন, রানা, কেশব, রনি, সুমন, সোহেল, আকাশ, রতন প্রমূখ।
এ উপলক্ষে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে গ্রামীণ লোকজ মেলা। মেলায় খাবার সহ বিভিন্ন রকমের পণ্যের নিয়ে সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। রবিবার মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি ও নগর পরিক্রমার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।