উথান মজুমদার, বিশেষ প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক কন্যা ৪র্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ঊর্মিকে (৯) ধর্ষণ শেষে নৃশংস ভাবে হত্যায় লম্পট ছগীর আকন (৪৫) এর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । ধর্ষক ও সিরিয়াল কিলার ছগীর আকনের ফাঁসির দাবিতে এবং দেশের সকল ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্মুখ সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজু, নাজমুল আহসান কবীর, জামাল এইচ আকন, ইসমাইল হোসেন হাওলাদার, উমন চেীধুরী, শিক্ষক প্রতিনিধি দোলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাইফুল ইসলাম, রাসেল রায়হান, ছাত্রদল নেতা রুবেল আহম্মেদ, ছাত্র প্রতিনিধি অব্দুল্লাহ আল অভি ও নিহত উর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।
বক্তারা সিরিয়াল কিলার ছগীরকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান এবং সারাদেশে ধর্ষকের পক্ষে কোন আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকেলে ঊর্মি নিখোঁজ হয়। ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্যে থেকে নিহত ঊর্মির অর্ধ গলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ঊর্মির বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ওই ২৩ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ছগীর আকন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেন এবং ছগীরকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিশ চার্জশিট প্রদান করেন। অপর আর এক মামলায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে জবাই করে হত্যা মামলায়ও এই ছগীরকেই অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। নিহত তন্নী সাংবাদিক সোহেল এর প্রতিবেশী চাচাতো বোন। সিরিয়াল কিলার ছগীর ওই উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে। ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। ঊর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।