শাহিন ফকির :
১৭ ই মার্চ ২০২৫ সোমবার সকাল ১১.০০ টায় পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি পিরোজপুর জেলা শাখা জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের জন্য চাকুরিকাল গণনা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদির প্রাপ্যতায় ১২ আগষ্ট ২০২০ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পত্রটি প্রত্যাহার এবং সমস্যাগুলো স্থায়ী সমাধানের দাবিতে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারক লিপি প্রদান করার পূর্বে পিরোজপুর সদর উপজেলা আম্বিয়া হাসপাতাল চত্বর থেকে র্যালী শুরু করে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে শেষ করেন,
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি ও ১২৮ নং দক্ষিণ গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম তালুকদার,৯৩ নং উত্তর-পূর্ব বানিয়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর এর প্রধান শিক্ষক মোঃ জামিল হোসেন, ১৩১ নং পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর এর প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার সিকদার, ৫৭ নং দীঘিরজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নাজিরপুর এর প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার শিকদার, ১৫৯ নং মাঝেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মঠবাড়িয়া এর প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল হক, ১৬৩ নং উত্তর ছাচিয়া কালীবাড়ি নাজিরপুরের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার বালা, ভান্ডারিয়ার নাসিরুল মুন্সি সহ পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত সাতটি উপজেলা থেকে আগত প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিক্ষক সমিতি পিরোজপুরে সভাপতি মোঃ সেলিম তালুকদার বলেন,আপনারা জানেন ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে বিভিন্ন পরিপত্র ও নীতিমালার আলোকে আমরা বেতন-ভাতা সহ আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকি,কিন্তু ২০২০ সালের ১২ই আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি অবৈধ পরিপত্র দেয় এবং বিভিন্ন শিক্ষকগন আর্থিক সংকটের হয়রানির শিকার হন,তারা এলপিআরের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না বেতন ভাতাদি ঠিকমতো পাচ্ছেনা।তাদের টাইম স্কেল কর্তন করে নিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদেরকে অবহিত করেছে যে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে এই অবৈধ চিঠি বাতিলের জন্য একটি চিঠি দিয়েছে তারপরেও তারা সেই অবৈধ চিঠি বাতিল করেনি,আমরা এই অবৈধ চিঠি প্রত্যাহার চাই,আমরা শিক্ষকগণ আর্থিক সংকটে আছি বেতন ভাতা ঠিকমত পাচ্ছিনা,আমরা এই অবৈধ চিঠি বাতিলের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বরাবর আমাদের পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করছি যাতে অল্প সময়ের মধ্যে এই অবৈধ চিঠিটি বাতিল করা হয়
এছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষক সভাপতি আরও বলেন, উক্ত পত্র জারীকরণের পূর্বে শিক্ষকগণ প্রচলিত বিধি মোতাবেক সকল আর্থিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করিয়াছেন। কিছু মারাও গিয়াছেন।
এব্যাপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার শুদৃষ্টি কামনা করছি।