ব্রাক্ষণবাড়ীয়া প্রতিনিধি আসিফ খান
আখাউড়া উপজেলা এক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন মানবিক সাথী নামে একজন নারী, তিনি বিগত ৩-৪বছর যাবত পথ শিশু ও অনহার দের মাঝে এক বেলা খাবার খাইয়ে থাকেন,বিভিন্ন আসহায় ও অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ও হত-দরিদ্র যারা কিনা হাটতে পারে না বা চলাফেরা করতে পারে না তাদের'কে হুইল চেয়ার ও প্রধান করে থাকেন, যেইসব মহিলা রা নিজে কিছু করতে চাই তাদের পাশেও তিনি দাড়িয়েছেন যেমন সেলাই মেশিন, গৃহপালিত পশু দিয়ে সাতের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন,এই ছোট ছোট কাজ গুলো যখন তিনি শুরু করেন তখন তার পাশে তেমন কেও ছিলো না তিনি বলেন আমি সংসার খরচ এর কিছু টাকা সঞ্চয় করে এটা দিয়ে আমি প্রথমে ২০-৫০জন মানুষকে এক বেলা খাবার খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করি এটা ছিলো আমার মনের শান্তির জন্য একটু মানবিক কাজ এটা করে আমি মনে শান্তি পেতাম আমি প্রথমে আখউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে যারা অসহায় ও পথশিশু ছিলো তাদের আহার দেওয়ার মধ্যে আমি এই মানবিক সেবা করা শুরু করি।
পরবর্তীতে আমার এই কার্যক্রম গুলো সমাজের সকলেই ভালো দৃষ্টিতে দেখেন,
তারা আমার পাশে দাড়াতে থাকেন,আমাকে সহযোগিতা করে বিশেষ করে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আমার এই কাজ কে অনেক সাপোর্ট করেছেন পরবর্তীতে আমার এই ২০-৫০ জনের মুখে আহার দেওয়া বেড়ে গিয়ে ১৫০ -২৫০ জনের খাতায় গিয়ে দাড়িয়েছে, এই ভাবে ধীরে ধীরে আমার এই সংগঠন এর নাম গিয়ে দাড়ায় মানবিক সাথী ফাউন্ডেশন নামে।
বিগত বন্যায় আমরা অনেক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছি যেমন ত্রান, খাবার, পানি, ঔষধ,ইত্যাদি সামগ্রী বন্যার সময় আমরা মানুষের মাঝে উপহার স্বরুপ দিতে পেরেছি, বন্যা পরবর্তী'তে আমাদের সাধ্য মোতাবেক মানুষ'কে আর্থিক সহযোগিতা করেছি, তার মধ্য উল্লেখ্য আমরা বন্যায় বসত ঘর ভেঙ্গে যাওয়া দুইটি পরিবার কে দুইটি ঘর পূর্ণনির্মান করে উপহার দিতে পেরছি।
উল্লেখ্য তিনি আরও বলেন অনেক বৃদ্ধ মুরুব্বি মা -বাবা যারা অসুস্থ অবস্থায় থাকে তাদের সেবা করতে তাদের পাশে দাঁরাতে তিনি অনেক পছন্দ করেন।
এই কাজে দেশ ও বিদেশের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রা আমাকে সহযোগিতা করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন আমরা চায় সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজ নিজ স্থান থেকে সকলের পাশে দাড়ালে কাওকেই আর অনাহারে বা ক্ষুদা পেটে নিয়ে ঘুমাতে হবে না।