জাহিদ মাহমুদ,মেহেরপুরঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের এইচএমএইচভি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিমকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ের কমিটির প্রস্তাবনা পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, হিন্দা বাজার থেকে তাকে জোর করে কয়েকজন রাজনৈতিক পদধারী ব্যক্তি বিদ্যালয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।
এইচএমএইচভি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, আমাকে জোর করে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কমিটির জন্য হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে কৃষকদল নেতা মিজানুর রহমান, জুয়েল রানা, সিদ্দিক। আমি এর আগে জেলা প্রশাসক বরাবর আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নানের নাম লিখে গত ৫ই মার্চ দিয়ে আসি যেটি ১১ই মার্চ ইউএনও স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আজকে রাজনৈতিক বলে সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের সমর্থক কৃষকদল নেতা মিজান সহ তার ক্যাডাররা আমাকে হুমকি দিয়ে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ইউএনও অফিসে জমা দেয়।
জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক বলেন, কমিটির বিষয়ে আমাদের কোন কাজ থাকেনা সেজন্য বিষয়টি আমি অবগত নেই। তবে শুনেছি কমিটি কয়েকদিন আগে হয়ে গেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের ব্যবহৃত (৯৯৮ শেষ তিন ডিজিট) নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি সাড়া দেননি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা বলেন, আজকে আমার অফিসে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম নিজেই তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে এসে আমাকে বলেন আগের কমিটির নাম বাতিল করে নতুন কমিটির নাম পাঠিয়ে দিতে। তখন গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান সহ অসংখ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তিনি জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া কিংবা হুমকি ধামকির বিষয়ে আমায় কিছু বলেননি তবে এমনটা ঘটলে তিনি থানা পুলিশের মাধ্যমে আইনী সহয়তা নিতে পারেন।
জাহিদ মাহমুদ
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি
০১৭১২০৪৯১৮২