আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর সুমন
ক্রাইম রিপোর্টার কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী তরুণ লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের অনুসারী মো. আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সরকারি জমি ও খেলার মাঠ দখল, সরকারি আবাসন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, স্কুলের গাছ বিক্রি, টিসিবির পণ্যের কার্ড বিতরণে অনিয়ম এবং নিরীহ গ্রামবাসীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো।
বিশেষ করে, স্থানীয় একটি খেলার মাঠ দখল করে সেখানে লেবু বাগান করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানায় এবং মাঠ পুনরুদ্ধার করে। তবে, অভিযোগ রয়েছে যে এ ঘটনায় জড়িতদের তিনি হত্যার হুমকি দেন এবং রাতে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেন।
এছাড়া, তার ছোট ভাই মো. হান্নান মিয়া বিদেশ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের হুমকি দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, তার আরেক ভাই মো. আশরাফুল চৌধুরীর নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যা জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন।
এ অবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে কমলগঞ্জে শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।