দিলীপ কুমার দাশ, শান্তিগঞ্জ(সুনামগঞ্জ) থেকে::
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে শত বছরের পুরনো স্থাপত্য নিদর্শন, মোগল প্রাসাদাকৃতির তিন গম্বুজবিশিষ্ট পাগলা বড় জামে মসজিদ। মহাশিং নদীর কুল ঘেঁষে রাজকীয় মহিমায় দাড়িয়ে আছে স্থাপত্যকলার বিস্ময় হয়ে থাকা এই নিদর্শনটি। মূলত নির্মাণশৈলী ও অপূর্ব কারুকাজের জন্য এই মসজিদটি বিখ্যাত। এলাকায় এই মসজিদ রায়পুর বড় মসজিদ নামেও পরিচিত।
১৯৩১ সালে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াসীন মির্জা ভারত থেকে দক্ষ স্থপতি মুমিন আস্তাগারের মধ্যমে পাগলা বড় জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের ৫ই আশ্বিন শুক্রবার মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। টানা দশ বছর কাজ চলার পর মসজিদটি বর্তমান রুপ লাভ করে। দ্বিতল এই মসজিদের মসজিদের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রস্থ ৫০ মিটার। মসজিদের ছাদের ২৫ ফুট উচ্চতার ৩টি গম্বুজ ও ৬টি সুউচ্চ মিনার রয়েছে।
পাগলা বড় জামে মসজিদের নির্মাণশৈলী ও নান্দ্যনিক কারুকাজ সবাইকে আকর্ষণ করে। জমকালো পাথর কেটে মসজিদের মিহরাবের নকশা করা হয়েছে। মসজিদের চারদিকে স্থাপিত কারুকার্যখচিত টাইলসগুলো আনা হয়েছে ইতালি, জার্মানি ও ইংল্যান্ড থেকে। মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে দ্বিতল এই মসজিদ নির্মাণে কোন রডের ব্যবহার করা হয়নি। সম্পূর্ণ ইটের ব্যবহারে নির্মিত স্থাপনাটিকে ভূমিকম্প নিরোধক করতে মজবুত পাতের উপর মসজিদের ভিত বসানো হয়েছে। পাগলা বড় জামে মসজিদের সামনে আছে বিশাল ঈদগাহ মাঠ এবং উত্তর দিকে একটি প্রবেশ তোড়ন রয়েছে।