চাঁদপুর জেলার বাগাদী গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, যেখানে সোনালী ব্যাংকের লোকজন একটি বাড়ির সম্পত্তি নিলামের নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে বাড়ির দুই পাশে লাল পতাকা লাগিয়ে দেন এবং মাইকে নিলামের ঘোষণা দেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কিছু স্থানীয় যুবক সেই বাড়ির আঙিনায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই বাড়ির মালিকের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত মামলার মুখোমুখি ছিলেন। ইতোমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাংকের আসল টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তবে ব্যাংক এখনো ১৩ লক্ষ টাকা সুদের দাবি করে আসছে, যা পরিশোধের বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। পরিবারের সদস্যরা সুদ মওকুফের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।
এ বাড়ির মালিকানায় পরিবারের পাঁচজন সদস্য (চার ভাই এবং মা) ওয়ারিশ হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। অথচ ব্যাংক এ বিষয়ে সকল অংশীদারকে অবগত না করে সম্পত্তি নিলামে তোলার নোটিশ জারি করে, যা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী বলে অভিযোগ করেন বাড়ির এক ওয়ারিশ মোঃ জাহিদুল ইসলাম খন্দকার (সুমন)।
“আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক। বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। গ্রামের বাড়ি থেকে আমাকে ফোনে জানানো হয় যে আমাদের সম্পত্তি নিলামে তোলার নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং এর পরপরই বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে,” বলেন সুমন।
তিনি আরও জানান, তার মা দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক সংক্রান্ত মামলায় আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে চলছেন এবং সম্পত্তির মূল্য বর্তমানে কোটি টাকারও বেশি। এমতাবস্থায় পরিবারের অনুমতি ছাড়া সম্পত্তি নিলামে তোলার ঘটনা দুঃখজনক ও বেআইনি বলে দাবি করেন তিনি।
সুমন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সুবিচারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুমন ও তার পরিবার