1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

ঈদেও বেতন নেই খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন কর্মচারির। 

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

ঈদেও পেতন পাচ্ছে না খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের ৮৮ জন আউটসোর্সিং কর্মচারি। আর কদিন পর আসছে ঈদ – উল ফিতর। ঈদের সময় খরচ চলবে কিভাবে? এমন হতাশায় আর দুশ্চিন্তায় ধুকছে এসব কর্মচারি ও তার পরিবারেরা। এবিষয়ে কথা হয় আউটসোর্সিং কর্মচারী মো: সোহেলের সাথে তিনি বলেন, ঈদেও বেতন নেই। গেল জানুয়ারির পর থেকে কোন বেতন নেই। আগে ঈদে প্রতি বছর বেতন না হলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজের পকেট হতে বেতন দিত।এখন এই মামলার জন্য সব কার্যক্রম স্থগিত আছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিশেষ করে পরিচালক স্যার অনেক চেষ্টা করলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার জন্য আমাদের এই অবস্থা। সর্বশেষ ভরসা আল্লাহ উপর যেমন তিনি চালাবেন তেমন হবে। জানাযায়, ১৭ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগ নেতা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিফোর এস এর পরিচালক মো: গিয়াস তিনি কাজ করেছেন। যেখানে তার সাথে ঔই ব্যবসায় জড়িত ছিল তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা মো: আশরাফুল ইসলাম সহ আরো তিন জন। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মচারীদের নামে ব্যাংক হিসাব খুলে জোর পুর্বক সাক্ষর নিয়ে প্রতিমাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা নিতেন। তবে ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর আশার আলো দেখছিল এসব কর্মচারীরা। এরই মধ্যে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল কতৃপক্ষ গেল ১৮ নভেম্বর বিভিন্ন পদে ৮৮ জন আউটসোর্সিং জনবল সরবরাহের জন্য দরপত্র আহবান করে, যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিশিয়ান ১ জন, প্লাম্বার ১ জন, জেনারেল অপারেটর ২ জন, মালি ২ জন, লিফটম্যান ৩ জন, ওয়ার্ড বয় ২৬ জন, আয়া ১৭ জন, টেবিল বয় ২ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ২৮ জন, মশালচী ২ জন। এছাড়া পত্রে উল্লেখ করা হয় ৫ ডিসেম্বর দরপত্র জমা দিতে হবে। এতে করে আগ্রহী ঠিকাদারেরা এই দরপত্রে অংশ গ্রহণ করতে প্রায় ২৬ জন বিভিন্ন নামের শিডিউল ক্রয় করে। এর মধ্যে শিডিউল জমা দেওয়ার আগের দিন ৪ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত থেকে দরপত্র সকল কার্যক্রম তিন মাসের বন্ধের জন্য রীট করে আদেশ জমা দেন এবি ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো: আলামিন। এর পর থেকে এসব কর্মচারীদের চাকুরির মেয়াদ থমকে যায়। বেতন অনিশ্চিত। তবে মেয়াদ তিন মাস পার হলেও কেন কার্যক্রম আগের মত। পাশাপাশি এবি প্রতিষ্ঠান এর কোন জবাব দেয়নি আদালতে। এ বিষয়ে এবি ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল এর পরিচালক মো: আলামিন বলেন আমি রিট করেছিলাম এখন রিটের কি অবস্থা আছে আমি বলতে পারছি না। ঈদের পর একটা ব্যাবস্থা নিব। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টি এস এর পরিচালক মো: গিয়াসউদ্দিনের ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার ব্যবহ্নত ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার তাপস বলেন, এখন এসব কর্মচারীরা আমাদের কোম্পানির না। আমাদের মেয়াদ গেল বছর ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়েছে। এখন উচ্চ আদালতে যেহেতু রিট আছে এখন আদালত নির্ধারন করবে ভবিষ্যতে কি হবে। এ বিষয়ে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা: শেখ আবু শাহিন বলেন, তিন মাসের মেয়াদ ছিল সকল প্রকার টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধের। আমরা চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি মন্ত্রণালয়ে। এখনোও কোন জবাব পায়নি। কর্মচারীরা কাজ করছে। ঈদেও বেতন পাচ্ছে না বিষয়টি নিয়ে খুবই মন খারাপ হচ্ছে। আমার কিছু করার নেই। তারপরও আমি আমাদের আইন শাখায় নিয়মিত খবর নিচ্ছি যেন দ্রুত রিট ভ্যাকেট করা যায়। সবকিছু সাভাবিক হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট