তুষার আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি
একজন সীমান্তরক্ষীর লা’শ পানিতে ভাসলো ৩০ ঘণ্টা। আমাদের কারো কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না। সেই লা’শ উদ্ধার করে আনতে কতখানি ডিসেন্সি মেন্টেইন করা হয়েছে?
চাকাওয়ালা একটা নৌকায় চ্যাংদোলা করে ফেলে রাখা ছিল লা’শ! অথচ বিজিবির শুনেছি হেলিকপ্টার আছে।
আজ এই উর্দিতে দুটো স্টার থাকলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের মধ্যে সহানুভূতির কত স্ফূরণ ঘটত, কত গল্প আর নিবেদন!
কিন্তু তিনি তো অফিসার না, সামান্য সেপাই! সেপাইয়ের মৃত্যুতে আমাদের অনুভূতির বদল ঘটে না। অথচ এই সেপাইরা প্রাণ দেওয়ার তালিকায় সবার আগে থাকেন। দূর্গম সীমান্ত সুরক্ষা দেন।
সেদিন রোহিঙ্গাদের যে নৌকা ডুবি হয়, সেই নৌকা থেকে জীবিত ২৫ জন নারী, শিশু ও পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন সিপাহি বিল্লাল হাসানরা! কেউ কেউ ভেসে যায়। বিল্লাল হাসানও স্রোতের তোড়ে ভেসে যান।
সব মানুষের জীবনের মূল্যও আমাদের কাছে সমান না! জীবনের দামের উপর আমরা শ্রেণি, পেশা, সম্পদের তফাৎ বসিয়েছি!
তাঁর লা’শ গতকাল পাওয়া গেছে। সিপাহি মো. বিল্লাল হাসানের প্রতি অফুরান শ্রদ্ধা। আল্লাহ তাঁকে শহীদের মর্যাদা দান করুন।