হাসান জুলহাস::
সিলেটে চিকিৎসকের বাসার লাকী নামের এক কিশোরী গৃহপরিচারিকার মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য। রোববার (২৪মার্চ) দিবাগত রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ঐ
গৃহপরিচারিকা।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ- লাকীকে নির্যাতনের পর হারপিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ পরিবারের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসার মালিক ডাক্তার জাকারিয়া আহমেদ রুমেল।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে-নিহতের গলায় এক ধরনের বিশেষ আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা অভিযুক্তের পরিবার। তবে মুঠোফোনে অভিযুক্ত ডাক্তার শুনালেন ভিন্ন কাহিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সিলেটের মেজরটিলার নূরপুর এলাকায় ডাক্তার জাকারিয়া আহমেদ রুমেলের বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে গত ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করতেন কানাইঘাটের সড়কের বাজার এলাকার লাকী আক্তার। গত ২২ মার্চ রাতে লাকী আক্তারকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন ডাক্তার জাকারিয়া আহমেদ রুমেলের পরিবারের লোকজন। পরে লাকীর পরিবারকে জানানো হয় তার পেটে ব্যথা করছে। কিন্তু হাসপাতালে এসে লাকীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ক্ষত চিহ্ন চোখে পরে তার পরিবারের। এরপর ২৪ মার্চ রাতে লাকী আক্তারের মৃত্যু হয়।
লাকী আক্তারের মা বিলাতুল বেগম অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও লাকী আক্তারকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের পর জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে তার মেয়েকে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান তিনি। মেয়ের হত্যার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি তার।
অভিযুক্ত চিকিৎসক জাকারিয়া আহমেদ রুমেল গণমাধ্যমকে বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, প্রেমে বাধা দেওয়ায় ক্ষোভে হারপিক খেয়েছে লাকী।
এদিকে, খবর পেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার সকালে লাকী আক্তারের মৃতদেহের সুরতহাল করে শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশ।
এব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনির হোসেন জানান, চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে গলায় বিষের সন্ধান পেয়েছেন। আমরা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এর পরেও আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।