1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি খুলনায় বাটা -ডমিনোস – কেএফসিতে ভাংচুর, ২৯০০ জনের বিরুদ্ধে তিন মামলা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ট্রলারসহ ২১৪ রোহিঙ্গা গ্রেফতার। পুর্ব বিরোধের জের ধরে ইউপি সদস্যের উপর হামলা করল চেয়ারম্যানের লোকজন জমিজমা নিয়ে বিরোধ গুলিতে ১ জন নিহত ফিলিস্তিনে নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে সুবিপ্রবিতে র‍্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশ টিআর প্রকল্প নিয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক‌ প্রশংসিত কালিহাতীতে ক্যাডেট কলেজে’র শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নামে সড়কের নামকরণের দাবি

এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ শতাংশই ব্যাটারিচালিত রিকশায়

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :

ঈদের ছুটির ৪ দিনে দেশের ১০ টি বড় হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় আহত হন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের করা গত বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ঈদুল আজহায় সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনায় পড়েছিল মোটরসাইকেল, ৫১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এবার মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় সমান। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গত কোরবানির ঈদের প্রতিবেদনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোনো হিসাব ছিল না। সাম্প্রদায়িক সময়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদে কয়েকটি হাসপাতাল তাদের রোগীর নিবন্ধন খাতায় দুর্ঘটনার কারন হিসেবে অন্যান্য যানবাহনের সাথে অটোরিকশার তথ্যও সংরক্ষন করে। ঈদের ছুটির ৪ দিনে( ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল) রাজধানীর দুটি এবং ঢাকার বাহিরে ৮ বিভাগীয় শহরের বিশেষায়িত ৮ টি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর তথ্য বিশ্লেষন করে সমকাল। তাতে এই পরিসংখ্যান উঠে আসে। এতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩২ দশমিক ২৭ শতাংশ, অটোরিকশায় ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ চার চাকার যানে ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। হাসপাতালে আসা ২৫ দশমিক ৫০ শতাংশ আহত রোগীর দুর্ঘটনার কারন নিবন্ধন খাতায় উল্লেখ করা হয়নি। এই ১০ টি হাসপাতাল হলো – জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ( নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল শের- ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সমকালের প্রতিনিধিরা এসব হাসপাতাল থেকে চার দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীরদের তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রাপ্ত তথ্য জানিয়ে মতামত জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো: হাদিউজ্জামান বলেন, ঈদের ছুটিতে নয়, এখন মুল সড়ক গুলোতে অধিকাংশ সময়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা উর্ধবশ্বাসে ছুটতে দেখা যায়। এতে সড়কে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে এসব বাহন নিয়ন্ত্রনে না আনলে দুর্ঘটনার হার আরো বাড়বে। সরকারী বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগী নিবন্ধন খাতার তথ্য বলছে, দেশের ১০ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঈদের আগের দিন থেকে টানা চার দিনে মোট ১ হাজার ১৩৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন, ( ৩২ দশমিক ২৭) , ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ৩৬৫ ( ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ) জন আহত হন।বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মতো চার চাকার যানবাহন দুর্ঘটনায় আহত হন ১১৫ জন। তবে চিকিৎসা নেওয়া ২৯০ জনের আহত হওয়ার কারন লেখেনি হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ঢাকা মহানগর পুলিশের ( ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ সরোয়ার সমকালকে বলেন, এবার ঈদে ঢাকা মহানগর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মামলা করার সুযোগ না থাকায় একটু বেগ পেতে হচ্ছে। প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা সক্রিয়ভাবে বাস্থবায়ন হলে সড়কে রিকশা কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এবার ঈদের পর এখনোও কোনো সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। তবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যান সমিতির প্রাথমিক তথ্য বলছে, এবার ঈদে দুই শতাধিক সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংগঠনটি মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদের ছুটিতে নগরীর মুল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রনহীনভাবে ছুটে চলায় অন্য যানবহনের জন্যও ঝুকি তৈরি হয়েছে। এসব রিকশার কাঠামো এর গতির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন নয়। ফলে রাস্তায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনা বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গন মাধ্যমে তা আসে না এমনকি জেলা পর্যায়ে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর তথ্যও গণমাধ্যমে আসে না। সড়ক দুর্ঘটনার সব তথ্য গণমাধ্যমে এলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যেত। সুত্রঃ সমকাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট