সৈয়দ শিহাব উদ্দিন মিজান স্টাফ রিপোর্টোর
এমপি না হয়েও ইতিমধ্যে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের সাধারণ জনগণের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি, ২০০১ সাল থেকে এখনো অব্দি নিঃস্বার্থভাবে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, কমলগঞ্জে সর্বপ্রথম মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিনা মূল্যে ডায়বেটিস রোগীদের চিকিৎসা, মসজিদ, মন্দিরে অর্থায়ন, বাধ নির্মাণ, বিভিন্ন রাস্তা ঘাট মেরামত সহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ
নিজ অর্থায়নে করে অনন্য এক নজীর স্থাপন করেছেন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর উনার প্রয়াত ভাই শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রথমবার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন তারপর শুরু হয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও এই আসনের তৎকালীন এমপি আব্দুস শহীদের অমানবিক ও পাষবিক নির্যাতন একের পর এক মামলা দায়ের করা হয় মুজিব ভাইয়ের উপর, কখনো টানা এক সপ্তাহ অফিস করতে দেয়া হয়নি ছোট ভাই শামীমকে তাঁর উপরও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে জনগণ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয় পরিবারকে তিনি জেলে থাকা অবস্থায় ছোট ভাই শামীম মৃত্যুবরণ করেন।
প্রত্যেকবার জেল থেকে বের হয়েই হয়ে চেষ্টা করেছেন দলকে সুসংঘটিত করতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশি বাধার সাথে শুরু হয় নিজ দলীয় লোকদের মুজিব ঠেকাও ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা, শপথ বাক্য পাঠ করা হয় হাজী মুজিবকে এমপি হতে না দেয়ার। ত্রিমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে কোনপ্রকার আতাতের রাজনীতি না করে জেলের ভিতর সেলে ছিলেন, প্রাত শতাদিক মামলার ঘানি টেনেছেন অসংখ্য দিন কোর্টের বারান্দায় সময় কাটিয়েছেন মাসের মধ্যে কখনো ২০/২৫ দিন কোর্টে যেতে হয়েছে হাজিরা দিতে। কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলে তাঁর সমর্থিত প্রত্যেকজন নেতাকর্মীর অবস্থা ছিলো একইরকম বিপরীতে হাজী মুজিব বিরোধীদের জীবনযাপন ছিল আরাম-আয়েশের ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছু ছিল স্বাভাবিক।
২০১৮ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পূনরায় দলীয় মনোনয়ন দিলে মৌলভীবাজার ৪ আসনে তিনি নির্বাচন করেন, ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা, পুলিশি বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মাত্র ২ ঘন্টায় ৯৪ হাজার ভোট পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন, জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা হয় চায়ের কাপ থেকে শুরু করে করে সর্বত্র রাতের ভোট না নাহলে ও নিরেপক্ষ ভোট হলে তখনি ইতিহাস সৃষ্টি হতো কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়ে এমপি হতেন হাজী মুজিব ভাই। এখন পর্যন্ত তাঁর জনপ্রিয়তার সামান্যতম ধারেকাছেও পৌছতে পারনি অন্য কোন প্রার্থী, দল অবশ্যই হাজী মুজিব ভাইয়ের মত ত্যাগী ও নির্যাতিত মূল্যায়ন করবে বলে বিশ্বাস করেন এই আসনের তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকগন।
নিজ এলাকা অথবা ঢাকা থেকে শুরু করে সিলেট যেকোনো সভা- সমাবেশে মুজিব ভাইয়ের সরব উপস্থিতি ছিলো, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের শত শত নেতা নেতাকর্মীও মুজিব ভাইয়ের ব্যানারে দলীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। সর্বশেষ ডামী নির্বাচন বর্জনের প্রতিবাদে তারেক রহমানের দেয়া প্রতিটা কর্মসূচি পালনে সর্বোচ্চ তৎপর ছিলেন হাজী মুজিব ভাই। হরতালে পিকেটিং , অবরোধের সমর্থনে মিছিল, ও মশাল মিছিলের মতো অসংখ্য কর্মসূচি নিজ তত্ত্বাবধানে করিয়েছেন, একাধিক মামলা হয়েছে, অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতের সকল জামিনের যাবতীয় খরচ একাই বহন করেছেন। কঠিন পরিস্থিতি মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও এক মুহূর্তের জন্য হতাশ হননি।সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অগাধ আস্হা ও বিশ্বাস রেখে জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আল্লাহ চাইলে তিনিই হবেন কমলগঞ্জ- শ্রীমঙ্গলের আগামীর এমপি কোন ষড়যন্ত্রই রুখতে পারবেনা ইনশা’আল্লাহ।