বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে ব্যবহৃত প্লাষ্টিক বর্জ্য যে গুলো সাগর থেকে ভেসে এসেছে, এই পরিস্থিতিতে আগত পর্যটকরা সমুদ্রে গোসলে নামতে দ্বিধাবোধ করছেন অনেকেই । সমুদ্র সৈকতের ব্যস্থতম পয়েন্ট লাবনি, সুগন্ধা ও কলাতলী । এসব পয়েন্টে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে আছে প্লাষ্টিক বোতল, প্লাষ্টিক প্যাকেট, ডায়পার, চিপসের প্যাকেট, কলার খোসা সহ নানা আবর্জনা, এসব আবর্জনার বেশকিছুই ভাসছে পানিতে ওখানেই গোসল করছেন বেড়াতে আসা পর্যটকরা । আবর্জনা নিদির্ষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও মাইকিং করা হলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করতেছেন না পর্যটকরা । এতে করে সমুদ্রের পরিবেশ টা দূষণ হচ্ছে বলে জানান আগত পর্যটকরা । পর্যটকদের সমুদ্র ভ্রমন সুন্দর ও নিরাপদ করতে নিয়মিত কাজ করছে টুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি লাইফ গার্ডরা । পর্যটকরা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার কথা বলছেন তারাও, এদিকে টুরিষ্ট পুলিশের ডিআইজি বলেন পর্যটকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করতেছেনা এটা যেমন সত্যি একই ভাবে সমুদ্র পরিচ্ছন্ন রাখতে আরো বেশি প্রচারনা করা দরকার, অনেক পর্যটক সামনে ডাষ্টবিন থাকা স্বত্বেও দেখা যাচ্ছে ময়লা গুলো যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে বা সাগরে ফেলতেছে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পর্যটকদের সচেতন হওয়ার দরকার। কারণ কক্সবাজারে বসবাস কারী কত জন সৈকতে আবর্জনা ফেলে? পর্যটকদের নিজ দায়িত্ব থেকে সচেতন হলে পরিবেশ সুন্দর থাকবে। একিই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। আরেকটা বিষয়ে নজর দিতে হবে, হোটেল মোটেল জোন থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলছে কিনা। এই বিশাল সমুদের মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ময়লা আবর্জনা আসতে পারে। যতটুকু সম্ভব বীচ কর্মীদের দিয়ে পরিস্কার করে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে । বতর্মান সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলমান কিনা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখতে ইচ্ছে করে তাহলে পর্যটকদের কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে দিতে হবে। যদি নিয়ম না মানে জরিমানা আদায় করতে হবে। যেমন বোতল, পলিথিন, ক্যান, অন্যান্য আরো অনেক কিছুই থাকতে পারে। যা পরিবেশের ক্ষতি করে।