মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
খুলনায় বাটা, ডমিনোস ও কেএফসিতে হামলা- ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় অজ্ঞাত প্রায় ২ হাজার ৯০০ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। সোমবার রাতে আটক ৩১ জনকে আজ বুধবার তিনটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বাটা শোরুমের ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ১২০০- ১৩০০ জন, কেএফসিতে ম্যানেজার সুজন মন্ডলের মামলায় ৭০০-৮০০ এবং ডোমিনোজ পিৎজার ম্যানেজার শামসুল আলমের দায়ের করা মামলায় আরোও ৭০০- ৮০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। পৃথক তিনটি মামলায় বাদি তাদের এজাহারে নিজ প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর, সম্পদ ও অর্থ লুটের পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের কাছে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে অন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়া সোমবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে যে ৩১ জনকে আটক করা হয়েছিলো পৃথক তিনটি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ থেকে একদল সুযোগ সন্ধানী মানুষ কেএফসি, বাটা ও ডমিনোস পিৎজার শোরুমে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।