মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বিগত ২৫ চৈত্র,৮এপ্রিল ২০২৫ইং, বাদ আসর মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল-এ গাউসুল আজম বিল বিরাসাত হযরত সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (কঃ) প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী কেবলা কাবার ৮৯তম পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ পরবর্তী ঐতিহ্যবাহী চাহরাম শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাহরাম শরীফ উপলক্ষে আগত আশেক ভক্ত জায়েরীণদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় মিলাদ কিয়াম শেষে সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণে আল্লাহ
রাব্বুল আলামীন এর দরবারে ফরিয়াদ করেন আওলাদে রাসূল (সাঃ), আওলাদে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ), মাইজভাণ্ডার গাউসিয়া হক মনজিল এর সম্মানিত সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)।তিনি গাউছুল আজম বিল বিরাসাত হযরত শাহসুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারী কিবলা কাবার মহান বার্ষিক ওরশ মোবারক ২২শে চৈত্র পরবর্তী চাহরাম শরীফ এর মাহফিলকে মাইজভান্ডারী ত্বরীকার-মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ঐতিহ্যবাহী চাহরাম শরীফ উল্লেখ করে মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে বলেন, “মওলা,এই মাহফিলে,এই পবিত্র দিনে আমরা আপনার বান্দারা সমবেত হয়েছি। মাওলা,বিশেষ করে এই পবিত্র দিনের বিশেষ যে এন্তেজাম, ফলার-ফাতেহা,সে ফলার-ফাতেহার উদ্যোগ নিয়ে, এন্তেজাম নিয়ে,মাওলা এই পবিত্র ফাতেহা শরীফের-বরকত লাভের আশা নিয়ে,আপনার মহান অলি হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.)-র ফয়েজ- বরকত হাসিলের আশা নিয়ে,যার মহান ওরশ মোবারক উদযাপিত হয়েছে-গাউছুল আজম বিল বিরাসাত বাবা ভান্ডারী (ক.) কিবলা আলম-এর ফয়েজ- বারাকাত হাসিলের আশা নিয়ে ,কুতুবুল ইরশাদ এর ফয়েজ-বারাকাত হাসিলের আশা নিয়ে,অছিয়ে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র ফয়েজ-বারাকাত হাসিলের আশা নিয়ে,বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.) কিবলা কাবার ফয়েজ বারাকাত হাসিলের আশা নিয়ে,হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.)-র সিলসিলার সমস্ত বুজুর্গানে দ্বীনের ফয়েজ বারাকাত লাভের আশা নিয়ে-আপনার বান্দারা সমবেত হয়েছি। আমাদের সকলকে মনযিলে মাকসুদে কবুল করুন।
আপনার মহান আউলিয়ে কেরামগণের রুহানী ফয়ুজাতের বারাকাত আমাদের জন্যে মন্জুর করুণ।সকলের হাজেরীকে কবুল করুন।যারা যে আশা নিয়ে,যে ফরিয়াদ নিয়ে দরবারে হাজির হয়েছে আজকে এই পবিত্র দিনে,মওলা বিশেষ করে,আপনার বান্দারা,এই ওরশ মুবারকে আশেক ভক্তগণের -আপনার বান্দাগণের,আল্লাহর অলির আশেক-ভক্তগণের জায়েরীণ-মেহমানবৃন্দের আগমন-নির্গমনকে-অবস্থানকে নির্বিঘ্ন করার জন্যে, শান্তিময় করার জন্যে,যে সেবা দিয়েছেন ,স্বেচ্ছাসেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছে, নিজেদের জীবনের মূল্যবান সময়কে কুরবানী করেছে, আপনার বান্দারা-নানান পর্যায়ে সামনে থেকে, পিছনে থেকে সকল মেহমানবৃন্দের খেদমতের মধ্যে নিজেদেরকে শরীক শামিল রেখেছেন ,মওলা-আপনার অসংখ্য বান্দারা দরবারে পাকে এই মহান দিনে মুর্শিদের কদমে নজরে আকিদাত- হাদিয়া-তওফা পেশ করেছেন। মওলা,সকলের- মওলা হাজেরী,সকলের খেদমত-শিরকত-হাদিয়া-তওফা আপনি কবুল করে নিন।এই সমস্ত কিছুকে আমাদের নাজাতের ওছিলা বানিয়ে দিন।এই সমস্ত কিছুকে আমাদের জন্যে অফুরন্ত বরকতের ওছিলা বানিয়ে দিন।যে সমস্ত পূর্ণ কর্মের মধ্যে আপনার বান্দারা নিয়োজিত ছিল,এই কর্মগুলোকে আপনি কবুল করে নিন।”তিনি মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটির সমস্ত খেদমতকে কবুল করার জন্য,সকলের গুনাহখাতা ক্ষমা করার জন্য, ভূল-ক্রুটি ক্ষমা করার জন্য ফরিয়াদ করেন করেন। তিনি রাব্বুল আলামীন পরওয়ার দিগারে আলম এর দরবারে যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন,যারা ফেরত গিয়েছেন-ফেরত যাবেন,সকলের গমনাগমনের এই পথকে নিরাপত্তা দান করার জন্য ফরিয়াদ করেন। তিনি সকলে যে শান্তি,যে বরকত,যে রহমত লাভের আশা নিয়ে আল্লাহ্-র বান্দারা দূর-দূরান্ত থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে এসেছেন,সকলের উপর,সকলের পরিবারের উপর অফুরন্ত রহমত বর্ষণ করার জন্য, রিযিকে অফুরন্ত বরকত দান করার জন্য,শারীরিক সুস্থতা দান করার জন্য ফরিয়াদ করেন। তিনি সন্তানরা যাতে পরিবারের জন্যে সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে -তাদেরকে কবুল করে নেওয়ার জন্য, তাদেরকে সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারার জন্য তওফিক কামনা করেন। যারা অসুস্থতার মধ্যে আছে তাদের সুস্থতা দান করার জন্য,মুরুব্বিদের হায়াতকে দারাজ করে দেয়ার জন্য ফরিয়াদ করেন।তিনি এই মহান দিনে গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সমস্ত এনতেজামকে কবুল করার জন্য, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটির সমস্ত খেদমতের আঞ্জামকে কবুল করার জন্য এবং যারা এই খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছে-দিয়ে যাচ্ছে, নিজেদের জীবনের নানান দুঃখ- কষ্ট-বেদনাকে উপেক্ষা করে- আল্লাহর মহান অলির কদমে নিজেদের জীবনের শ্রম-সম্পদ-সময় কে উৎসর্গিত করেছে , তাদের এই কুরবানীকে কবুল করার জন্য এবং এই খেদমত কে আরো ব্যাপকভাবে যাতে তারা আঞ্জাম দিতে পারে-দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে পারে সেই জন্য সকলকে জানে মালে তওফিক আত্বা করার জন্য এবং দেশে-বিদেশে আশেকানে মাইজভান্ডারী , গাউছিয়া হক কমিটির সদস্যবৃন্দ , বিশ্বঅলি হক ভান্ডারীর গোলামেরা যে যেখানে আছেন ,সকলের নিজ নিজ কর্মের মধ্যে তরক্কী দান করার জন্য আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা’র দরবারে আকুল ফরিয়াদ জানান।পরিশেষে আগত অগণিত আশেক ভক্ত জায়েরীণদের ফলারাদি ও তবাররুকাত পরিবেশন করা হয়।বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, এই পবিত্র চাহরাম শরীফ এর ফলারাদি সাধারণ আশেক ভক্ত জায়েরীণবৃন্দ জটিল-কঠিন বিমারী(রোগ)-র শেফার নিয়তে গ্রহণ করে থাকেন।