মোঃ আবদাল মিয়া জেলা, প্রতিনিধি,
অগ্রণী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত মিসবাহ নামে এক সিকিউরিটি গার্ড কে মনে করে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী বারের সদস্য তরুন এডভোকেট সুজন মিয়াকে হ’ত্যা করে ভাড়াটে কি’লার গ্রুপ।
মৌলভীবাজার পুলিশ প্রশাসন আজ বৃহস্পতিবার(১০ই এপ্রিল)এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন মিসবাহকে হ’ত্যা করার জন্য কি’লার গ্রুপ কন্ট্রাক্ট করে। পরবর্তীতে তারা মৌলভীবাজার পৌরসভার প্রাঙ্গণে ফুচকার দোকানের সামনে এডভোকেট সুজন মিয়াকে মিসবাহ মনে করে হ’ত্যা করে। ইতিমধ্যে পাঁচজন কিলা’রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ প্রসাশন।
মৌলভীবাজারে আলোচিত আইনজীবী সুজন মিয়া হ’ত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। ৯ই এপ্রিল মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের এক বিশেষ
অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিব (২৫), সহযোগী মোঃ আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), লক্ষন নাইডু (২৩), এবং আব্দুর রহিম (১৯)-কে। নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে ৬ এপ্রিল ২০২৫, রাত আনুমানিক ১০টা ৫০ মিনিটে, মৌলভীবাজার পৌরসভার পশ্চিম পাশে, শহরের মূল সড়কের পাশের ফুটপাতে। তামান্না নামের একটি ভাসমান ফুচকা দোকানের পাশে বসে থাকা অবস্থায় আইনজীবী সুজন মিয়াকে একাধিক দুর্বৃত্ত ধারালো অ’স্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আ’ঘাত করে হ’ত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমনের দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে (মামলা নং-১৫, তারিখ ০৮/০৪/২০২৫, ধারা-৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি) পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, নজির মিয়ার পূর্ব শত্রুতা ছিল তার প্রতিবেশী ও ব্যাংক নিরাপত্তারক্ষী মিসবাহের সঙ্গে। মূলত তাকে লক্ষ্য করে হ’ত্যার পরিকল্পনা হলেও ভুলবশত সুজন মিয়াকে হ’ত্যা করা হয়। দুই বছর আগে চাদনীঘাট এলাকার এক হোটেলে কাজ করার সময় নজিরের পরিচয় হয় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষনের সাথে। লক্ষনের মাধ্যমে সে মিসবাহকে হ’ত্যার জন্য অর্থের বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করে।
ঘটনার রাতে বানিজ্য মেলার ভিড়ে সুজন মিয়াকে ভুল করে টার্গেট ধরে আব্দুর রহিম ভিডিও কলের মাধ্যমে নজির মিয়াকে দেখায়। দৃশ্য দেখে নজির নিশ্চিত হলে খু’নের নির্দেশ দেয়। এরপরই ভাড়াটে হামলাকারীরা সুজনকে উপর্যুপরি ছুরি’কাঘাত করে হ’ত্যা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, হ’ত্যাকাণ্ডে আরও ১০-১২ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং তাদেরও শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।