মাহফুজুর রহমান সাইমন সরকার শেরপুর
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজার কাছে চরশেরপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ ড্রাইভার কর্তৃক চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে চরশেরপুর তালেব আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ওই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় চরেশরপুর ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ও নাইমসহ শত শত সাধারণ জনগণ বলেন, তিনি অত্যন্ত ভালো লোক আমাদের বিপদে আপদে অভাব অনটনে আমরা সবসময় তাকে পাশে পাই। তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানায় প্রতিনিয়ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
আরো বলেন, ইউনিয়নের কতিপয় নেশাগ্রস্থ চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী আমাদের চেয়াম্যানের নিকট চাঁদা বাদী করেন। স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ নানা পেশার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ ঘিরে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা লক্ষ করা গেছে। এছাড়াও এসময় উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিলের ছবিতে ঝাড়ু–পেটা করে ও দুই গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগান ধরেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরশেরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী, ১ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি রুবেল মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি মো. মুতাসিম বিল্লাহ, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান সাঈম, চরশেরপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, শেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শামিম মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাকিল রানা প্রমুখ।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু চাহিদা মত চাঁদা না দেয়ায় তাকে আওয়ামীলীগের দোসর বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
এছাড়াও শহরের কতিপয় চাঁদাবাজের মদদাতারা চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে, যা হাস্যকর ব্যাপার। এসময় বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাকিল আহমেদ, সাধন, আলমগীর, মানিক ও সোহাগসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি করেন।
চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নিজেকে বিএনপি সমর্থিত দাবি করে বলেন, আমি নৌকার বিপরীতে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। সমস্যা হলো আমার ইউনিয়ন থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় সরকারি কর্মকান্ডে আমাকে বিভিন্ন পোগ্রামে অংশগ্রহন করতে হয়েছে। সেই সব ছবি ব্যবহার করে আমাকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে। সরকার পতনের পর থেকেই আমার কাছে শাকিল গং চাঁদা দাবি করে আসছে।
কিন্তু যে পরিমান চাঁদা দাবি করে তা কোনভাবেই দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও সরকারি কার্ড সব তারা একাই দাবি করে। আমি সব কার্ড তাদের হাতে তুলে দেইনি এটাই আমার অপরাধ।
তবে অভিযুক্ত যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ ড্রাইভার বলেন, চাঁদা দাবির প্রশ্নই উঠেনা। আমি ইতোমধ্যে মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছি।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।