বিশেষ প্রতিবেদক কক্সবাজার
মায়ানমার থেকে চোরাই পথে এনে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো মালিক বিহীন ১৭টি মহিষ প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করেছে টেকনাফ কাস্টমস শুল্ক বিভাগ। এসব মহিষের মধ্যে পাঁচটি ছিল বাছুর ও বারটি মাঝারি আকারের মহিষ ছিল। মোট ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় এগুলো বিক্রি হয়।
৬৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল দল গত ১২ এপ্রিল রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাং খালী বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে মহিষ গুলো জব্দ করে। পরে কোনো মালিক না পাওয়ায় সেগুলো টেকনাফ কাস্টমস ও শুল্ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শুল্ক বিভাগের গুদাম কর্মকর্তা মাসুদ আলম জানান, প্রথম দফায় গত ১৩ই এপ্রিল রোববার মহিষ গুলোর বাজার মূল্য ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে নিলামের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৪ জন অংশগ্রহণ করলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না ওঠায় নিলাম বাতিল করা হয়।
পরদিন সোমবার (১৪ এপ্রিল) সোমবার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পল্লান পাড়া প্রস্তাবিত সীমান্ত চৌকি এলাকায় পুনরায় খোলা বাজারে প্রকাশ্য নিলাম ডাকা হয়। এতে অংশ নেন ৯৫ জন নিলাম ডাককারী । সর্বোচ্চ মূল্য দাতা হিসেবে মেসার্স সাহেব এন্টার প্রাইজ ৯ লাখ টাকা মুল্য দেয়। সঙ্গে ২৫ শতাংশ আয়কর ও ভ্যাট সহ মোট মূল্য দাঁড়ায় ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
মেসার্স সাহেব এন্টার প্রাইজের মালিক মাহবুব আলম বলেন, নিলামে ১৭টি মহিষ কিনেছি। এর মধ্যে ৫টি বাছুর এবং বাকি ১২টি মাঝারি আকারের মহিষ। আমরা নিয়ম অনুযায়ী সব খরচ সহ চূড়ান্ত মূল্য পরিশোধ করেছি।
শুল্ক কর্মকর্তা মো. সোহেল উদ্দিন জানান, সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে পশুগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এসব চোরাই মালামাল নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।