শহিদুল ইসলাম খোকন:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত রেখেছে মো. বোরহান খান।
জানা যায়, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ঝিনাইয়া গ্রামের মৃত হাফেজ খানের ছেলে মো. দুলাল খান (২৮) এবং তার ভাই মো. বোরহান খান (৪৩) এর মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার অন্তর্গত সাবেক ১০ নং হালে ১২ নং ব্যাসদি মৌজার বি.এস ২৪১৯নং খতিয়ানের অন্দরে সি.এস ৯২৩৫ বি.এস ১৬১৫১ দাগে ভিটি ৫.২০ শতক পূর্বাংশের ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ১৪ এপ্রিল মো. বোরহান খান জোরপূর্বক ভাবে ওই জমিতে ভবন নির্মাণ করছিল। বড় ভাই দুলাল খান বাধা দিলে সেই বাধা উপেক্ষা কর তিনি সেখানে ভবন নির্মাণ করেন। দুলাল খান কোন উপান্ত না পেয়ে চাঁদপুর আদালতের মো. বোরহান খানের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনে ১৪৫ ধারার বিধান মতে আবেদন করলে গত ১৫ এপ্রিল চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. দুলাল খানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নথি পর্যালোচনা করে ৪৮৩ স্মারকে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) ওই স্থানের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলা সরকারি কমিশনারকে (ভূমি) নালিশি ভূমির দখল বিষয়ে মতামত সহ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ান নির্দেশ করা হয়েছে। এবং দুই পক্ষকে কারণ দর্শাতেও নির্দেশ করা হয়েছে। আদালতের নোটিশের পরিপেক্ষিতে মতলব উত্তর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল উদ্দিন ১৬ এপ্রিল ঐ স্থানে দুই পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন এবং চলমান কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসেন। এসময় তিনি জানিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থানে কোন রকমের কাজ করতে দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে মো. দুলাল খান জানান, আমি কোন উপায়ান্তু না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালত আমার প্রার্থনা মঞ্জুর করে এইখানে ১৪৫ ধারা জারি করেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাব।
মো. রোহান খান জানান, আমি আমার জায়গায় দালান নির্মাণ করছিলাম। আমার বড় ভাই কি কারনে এই জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমি জানিনা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নোটিশ পাওয়া মাত্রই আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমি আমার জায়গায় সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আদালতের দাখিল করিব।
মতলব উত্তরের ঝিনাইয়া গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় স্থাপনা নির্মাণ স্থগিত করা হয়েছে।