সুজন আহম্মেদ স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নাহিদ হাসান (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রের নিখোঁজের একদিন পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেল লাইনের ভাঙ্গুড়া পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন এলাকার রেললাইন থেকে প্রায় ফিট উত্তর পাশের ঝোপঝাড় থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ( ১৭ই এপ্রিল) ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার বড় বোনের পরীক্ষা উপলক্ষে বোনকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন। সেখান থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। ঐদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তার পিতা। নিহত নাহিদ পার্শ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার খানপুর এলাকার নূর মোহাম্মদ এর ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, নাহিদের বড় বোন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বড় বোনকে সাথে নিয়ে নাহিদ পরীক্ষার কেন্দ্রে এসেছিলেন। তার বড় বোন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে সাড়ে দশটার পর থেকেই তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকে। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন নাহিদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পিতা নুর মোহাম্মদ। এরপর শুক্রবার বিকেলের দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পান যে, একটি শিশুর লাশ ভাঙ্গুড়া রেল লাইনের ধারে পড়ে আছে। পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ নাহিদের লাশ সনাক্ত করেন। নিহত নাহিদের পরনে ছিল কালো রঙ্গের প্যান্ট ও সাদাকালো টি-শার্ট। তার কপালে ও পেটের ডানপাশে কালো দাগের চিহ্ন দেখা গেছে। এ সময় পরিবারের লোকজনের কান্নায় ওই এলাকাটি ভারী হয়ে ওঠে। পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নির্জন স্থানে ফেলে রেখে চলে গেছে। তবে পুলিশের ধারণা, ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হতে পারে। নিহত নাহিদের চাচা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, নাহিদ অত্যন্ত ভালো ছেলে। তার কোন শত্রু নেই, কিন্তু কেন কেই বা এমন ঘটনা ঘটালো তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। অতিদ্রুত এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীও জানান, ঘটনার বিষয় ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির লাশ দেখতে পান। লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সুরত হাল প্রতিবেদন শেষে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।