স্টাফ রিপোর্টার আদিলুর রহমান
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার যশরা ইউনিয়নের বখুরা গ্রামে চাঁদার দাবিতে হামলা, মারধর ও নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রবাসীর সন্তান এবং দুইজন রাজমিস্ত্রী।
জানা যায়, প্রবাসী নজরুল ইসলাম প্রায় ছয় মাস আগে দেশে ফিরে তার তিনতলা ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় হাবিবুর রহমান এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং তার সহযোগীদের নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে নজরুল ইসলাম বাধ্য হয়ে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
নজরুল ইসলাম বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন। তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী সুরেফা আক্তার পলি পুনরায় ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করলে হাবিবুর রহমান আবারও তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং কাজ বন্ধের হুমকি দেন।
২০ এপ্রিল (রবিবার) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে নির্মাণাধীন ঘরের ইটের গাঁথুনির কাজ চলাকালে হাবিবুর রহমান, তার ছেলে নওশাদ, স্ত্রী নাসিমা খাতুন, মাজহারুল ইসলামসহ একদল লোক এসে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং পুনরায় চাঁদার দাবিতে হুমকি দেয়।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পলির ছেলে শুভকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে রাজমিস্ত্রী জোনায়েত ও মোস্তাকিনও হামলার শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার পর সুরেফা আক্তার পলি গফরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।