আনারুজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি।
অব্যাহত চাঁদাবাজিসহ হয়রানী ও প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন করেছে সুন্দরবনে যাতায়াতকারী শ্যামনগরের বনজীবীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন তীরবর্তী হরিনগর বাজারের স্লুইস গেটের উপর ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেয় তারা।
বনজীবী সমিতির আহবায়ক বাবলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, জামায়াত আমির আবুল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মাকছুদুর রহমান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন কদমতলা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম তার বিগত দিনের চাঁদাবাজির ধারা অব্যাহত রেখেছে। পট পরিবর্তনের পর ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক পদে থাকা ঐ নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের থেকে চাঁদা আদায় করছে।
দাবিকৃত চাঁদা না দিলে সুন্দরবনে তৎপর জলদস্যুদের ব্যবহার করে কৌশলে মুক্তিপণ আদায় করছে। এছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমুলক তথ্য দিয়ে সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সত্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সুন্দরবনে যাতায়াতরত বনজীবীদের বিপদে ফেলেছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী দ্রত সময়ের মধ্যে সিরাজুলকে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি আজিবর রহমান, ব্যবসায়ী আকবর হোসেন, আব্দুর রউফ, শহীদ শেখ, সাইফুল ইসলাম, জলিল উদ্দীন প্রমুখ।
এদিকে মানববন্ধনের পরপরই সিরাজুল ইসলাম দৈনিক পত্রদূতের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানান, তিনি দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার শ্যামনগর প্রতিনিধি এবং একজন সক্রিয় সাংবাদিক। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারনে বিগত ৫ আগষ্ট তার বাড়ি-ঘর সবকিছু পুড়িয়ে কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকার বাইরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে বিক্ষুব্ধ হয়ে একটি মহল তাকে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত করতে কোন সুনিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই এ ধরনের মানববন্ধনের আয়োজন করিয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেছেন।