মালিকুজ্জামান কাকা
অবৈধ মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এস কে সুজনকে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের ৩নং ওয়ার্ড ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ সময় স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরে পুলিশও ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘোপসেন্ট্রাল রোডের জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন বিতর্কিত যুবক দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। সম্প্রতি তারা পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে মাদকের ব্যবসা শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সম্প্রতি মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের এলাকায় দেখে তাদের সতর্ক করেন। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী নেতা সুজনসহ মাদক কারবারিরা ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে ঘোপসেন্ট্রাল রোডে এসে উচ্চস্বরে স্থানীয়দের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বিষয়টি একপর্যায়ে হট্টগোলে রূপ নিলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সুজনকে ধরে গণধোলাই দেয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায়। ওই সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি হট্টগোল দেখে গাড়ি থেকে নেমে সুজনকে উদ্ধার করেন এবং তাকে মাদকের পক্ষ নেওয়ার কারণে তাকে ভৎসনা করেন। পরে কোতোয়ালী মডেল থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতিতে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মধ্যস্থতায় বিষয়টি স্থানীয়দের সঙ্গে মীমাংসা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, ‘সুজন আমাদের জেলা শাখার সদস্য। শুনেছি ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে, তবে তা মীমাংসা হয়ে গেছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ওসি তদন্ত ) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।