আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী সুমন প্রতিনিধি।
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে একজন তরুণ ব্যবসায়ী ঘোষণা করলেন কমলগঞ্জে নারী শিক্ষার জন্য একটি একক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়বেন। কারণ তখনও এখানে নারী শিক্ষার জন্য তেমন কোন একক উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
তিনি এলাকার বিশিষ্টজনদের পরামর্শক্রমে কমলগঞ্জ উপজেলাস্থ আদমপুর রোডের পাশে নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে ১.২২ একর জমি কিনলেন, বিল্ডিং নির্মাণ করলেন ও প্রতিষ্ঠা করলেন তাঁর পিতার নামে স্বপ্নের আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজ। অত:পর একুশ শতকের নবযুগে নিজের কষ্টার্জিত টাকা ব্যয় নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করে এলাকার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন ।
এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অনেকগুলো ধাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেন। কমলগঞ্জের বুক চিড়ে বহমান ধলাই নদীর করাল গ্রাসে জিম্মি অত্র অঞ্চলের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে নিজের উপার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বাঁধ দিলেন।
তিনি ইচ্ছা করলে ভিন্ন কিছু করতে পারতেন। এলাকার চা-পর্যটনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে বিনিয়োগ করে কাড়িকাড়ি টাকা আয় করতে পারতেন। তিনি তা করেননি, আপাদমস্তক ব্যবসায়ী এই ভদ্রলোকটি নিজ জন্মস্থানে ‘নারী শিক্ষার অগ্রদূত’ হিসেবে আর্বিভূত হলেন। এমনকি ধলাই নদীর বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মানুষের ‘মুক্তির ত্রাতা’ হিসেবে আর্বিভূত হলেন।
পরিশেষে শুধু এটুকুই বলবো, একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে সুদূর ভবিষ্যতে তাঁর নাম কতটুকু চর্চিত হবে সেই বিষয়টি ভবিষ্যতের জটিল রাজনীতিই বলে দিবে, কিন্তু কমলগঞ্জের উন্নয়নে তাঁর অসামান্য অবদানের গল্প একজন দানবীর হিসেবে সবসময় আমজনতার দোয়া ও ভালোবাসায় থাকবেন জনাব আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, সবার প্রিয় হাজী মুজিব।