ফরিদ আলম সিকদার (কক্সবাজার)
কক্সবাজার জেলার উখিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রত্না পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রোডের বেহাল অবস্থা এখন যেন চরম ভোগান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তবে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি পরিণত হয় ছোটখাটো নদীতে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, কখনও কখনও প্রাণহানিও ঘটছে। ভাঙা রাস্তায় যানবাহন চলাচল যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তেমনি পায়ে হেঁটে চলাও হয়ে উঠেছে মরন ফাঁদ পার হওয়ার মতো।
রত্নাপালং ইউনিয়নের, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার বেহাল দশা ভুক্তভোগী হাজার স্কুল শিক্ষার্থী এবং দক্ষিণ রত্না,রুহুল্লার ডেবা,কামারিয়ার বিল,গয়ালমারা,চাকবৈঠা সহ পার্বত্য জেলায় সংযোগস্থল যাওয়ার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতের অনন্য পথ।
দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি এমন বেহাল অবস্থায় থাকায় জনতের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ৫০ গজের মতো জায়গার এই রাস্তাটি যেন ৫০০০ গজের জায়গার দু:খ বহন করে।
তা ছাড়া,এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ হাজারো লোকের চলাচল। রাস্তাটি অকেজো হওয়ায় ছোট যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার সৃষ্ট গর্তে পানি জমে থাকে। বিশেষ করে রাস্তার দু-পাশে পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থার জন্য নালা না থাকায় বৃষ্টি হলে হাটু পরিমাণ পানি এবং কাদা হয়। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের সেই কাদা পেরিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হলে অনেক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
একজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিগত সরকার শুধু আশ্বাস দিয়েই গেছে, বাস্তবায়নে ছিল না কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ। আমরা এই সড়কের উন্নয়নের জন্য বহুবার আবেদন করেছি, কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি।”
স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও জানান, “এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির দিনে স্কুলে পৌঁছাতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহতও হয়েছি।”
অতএব, বর্তমান সরকারের প্রতি এলাকাবাসীর আকুল আবেদন—উখিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ রত্না পালং রোডের দ্রুত সংস্কার করা হোক। জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।