স্টাফ রিপোর্টার আদিলুর রহমান
বুধবার নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর নিথর দেহের পাশে ছুরি হাতে নির্বিকার বসে ছিলেন স্বামী। আর একদিন পার হতে না হতেই নির্মম আরেক হত্যাকাণ্ড দেখল গাজীপুরের শ্রীপুরের কপাটিয়াপাড়া গ্রামবাসী। একই সঙ্গে ঘটিনাটি জানান দিয়ে গেল দেশবাসীকে।
স্ত্রীকে হত্যার পর নিজেই ফোন দিলেন শ্বশুরকে। বললেন, ‘আপনার মেয়ের লাশ নিয়ে যান।’
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে ঘটে। ঘটনায় স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন ওই যুবক। এর তিনি পালিয়ে যান।
নিহত নারীর নাম নাদিরা আক্তার (২৬)। তিনি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। তারা শ্রীপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই জান্নাতীকে হত্যা’‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই জান্নাতীকে হত্যা’বিস্তারিত পড়ুন জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আমিনুল ইসলাম তার স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে শ্বশুরকে ফোন করে হত্যার কথা জানিয়ে পালিয়ে যান।
নাদিরার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে জামাতা আমিনুল ফোন করে বলে, আপনার মেয়েকে মেরে ফেলছি, এসে লাশ নিয়ে যান। এরপর ফোন কেটে দেয়। পরে অনেকবার চেষ্টা করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান জানান, আমিনুল ও নাদিরা ছয় বছর ধরে তার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। ঘটনা জানার পর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে অবহিত করেন।
এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না জয়ের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না জয়ের বিস্তারিত পড়ুন মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাসমতউল্লাহ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী আমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তার খোঁজে অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান।