মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা ব্যুরো :
খুলনায় এইচ এইচএসসি দ্ধিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইবনাত বিনতে বুশরা (২৮) আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল দুপুরে নগরীর সদর থানা এলাকার দোলখোলা মোড়ের বাবুর গ্যারেজ সংলগ্ন ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিফা রুপসা বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি দ্ধিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার পিতার নাম বাবু শেখ। অপরদিকে এ ঘটনার তথ্য আনতে গিয়ে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক মো: রাজু হাওলাদার। নিহত পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ইবনাত বিনতে বুশরা গতকাল বেলা ২ টার দিকে নিজ বাসায় ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অচেতন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়না তদন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্পন্নের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে মৃত শিক্ষা শিক্ষার্থীর তথ্য আনতে গিয়ে হাসপাতালে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও রাজধানী টিভির সাংবাদিক রাজু হাওলাদার তিনি এঘটনায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: মেহেনাজ মোশাররফকে দায়ী করেন। সাংবাদিক রাজু জানান,তিনি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তথ্য চান। কিন্তু ডা: মেহেনাজ মোশাররফ তথ্য দিতে অসীকার করেন। তখন তিনি মোবাইল বের করলে আনসার সদস্যরা ও আশপাশের কর্মচারীদের ডেকে আনেন। তারা জোর করে সাংবাদিক রাজুর মোবাইল কেড়ে নেয় ও তাকে আটকে রেখে ডা: মেহেনাজ মোশাররফ নিজে আনসার বাহিনী ও আউট সোর্সিং এর কর্মীরা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিকরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মো: শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক লাঞ্চনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এঘটনায় তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দৈনিক খুলনাঞ্চলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তফা জামাল পপলু, দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার ও সাংবাদিক নেতা আবুল হাসান হিমালয়, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও এস এ টিভির খুলনা প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম মতি, কালবেলার খুলনা ব্যুরো প্রধান আহমেদ মুসা রঞ্জু, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও একুশে টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম নুর। দৈনিক কালের কণ্ঠ ডিজিটাল প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, দৈনিক খুলনার সাংবাদিক ইমরান হোসেন, দৈনিক ঘোষণার খুলনা ব্যুরো মো: রবিউল হোসেন খান, সোহেল রহমান সহ অসংখ্য সাংবাদিকরা। এসময় তাৎক্ষনিকভাবে তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, একজন সাংবাদিকের কাজ হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা এটি নিন্দনীয় ও সৈরাচারী মনোভাব। এই ঘটনার আমরা তিব্র নিন্দা জানাই।