মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী।
পহেলা মে’র ইতিহাস রক্তে রাঙা দিন,
অধিকার আদায়ের অমলিন বীণ।
শিকাগোর রাজপথে আত্মাহুতির গান,
জাগালো বিশ্বে শ্রমিকের নবপ্রাণ।।
পহেলা মে’র এই দিনে, জাগে বিশ্বের প্রাণ।
শ্রমিকের জয়গান গাহে, করে সবে সম্মান।
মানবিক পরিবেশ আর সঠিক বেতন চাই,
মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে যেন কষ্ট নাহি পাই।।
পহেলা মে’র ইতিহাস মনে রেখো সাথী,
শ্রমিকের সংগ্রামে জ্বলেছিল বাতি।
অধিকার আদায়ের দৃপ্ত অঙ্গীকার,
ভেদাভেদ ভুলে সবে হও একাকার।।
রক্ত ঘামে ভেজা কঠিন মাটির বুক,
সৃষ্টির কলরবে জাগে নবীন সুখ।
হাড়ভাঙা খাটুনি তবু মুখে নাহি গ্লানি,
তাদেরই স্পর্শে ফোটে ফসলের ধানী।।
যুগে যুগে চলে আসা শোষণ-পীড়ন,
মানবাধিকার কাঁদে, মানে না বারণ।
ন্যায্য মজুরি আর কর্মপরিবেশ চাই,
শ্রমিকের মর্যাদা যেন ফিরে পাই।।
শোষণ আর বঞ্চনার হোক অবসান,
মানবিক পৃথিবী গড়ে উঠুক, জাগুক প্রাণ।
ন্যায্য মজুরি আর কাজের সম্মান,
শ্রমিকের জীবনে আসুক নতুন মান।।
কারখানা, ক্ষেত-খামার, পথের কিনারে,
জীবন সংগ্রামে বাঁচে যারা দুঃখভারে।
তাদের মুখের হাসি অমূল্য রতন,
তাদের শ্রমেই চলে বিশ্বের সঠিক গমন।।
আধুনিক বিশ্বে আজ যন্ত্রের জয়গান,
তবুও তো প্রয়োজন শ্রমিকের অবদান।
মেধা আর হাতের কৌশলে মেশে বল,
শ্রমিকেরাই আনে সমৃদ্ধি, অর্থনীতির ঢল।।
দারিদ্র্যের কষাঘাত আর অভাবের জ্বালা,
তবুও তো বাঁচে তারা, বেঁধে আশা-মালা।
সরকারের নীতি হোক শ্রমিক সহায়ক,
জীবনের যত সব বাঁধা, চিরতরে ঘুচে যাক।।
শিক্ষা- স্বাস্থ্যের আলোয় জীবন ভরুক,
শ্রমিকের জীবন নিশ্চিত সুন্দর হোক।
তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ো হেসে,
যেন তারা বিশ্বে বাঁচে সুখে ভালোবেসে।।
ধরণীর পথে বাঁচে সকল শ্রমজীবী ভাই,
অধিকার দাও, ঘুচাও দৈন্যদশা মিলে সবাই।
শোষণ বঞ্চনা আর নয়, জাগো হে মেহনতী,
ন্যায্য দাবীতে হও সোচ্চার, ভুলে যত ভীতি।।
রাসূলের অমর বাণী, স্মরণে রেখো ভাই,
ঘাম না শুকাইতে যেন, মজুরি পায় সবাই।
শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সভ্যতা,
তাদের সম্মান জানাও, এটাই কর্তব্য-কৃতজ্ঞতা।।