মোঃ সুলতান মাহমুদ , গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরুন গ্রামে এক বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) পালাক্রমে ধর্ষণ ঘটনার মুল হোতা এলাকার বখাটে সিয়াম (১৯) কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠিয়েছে। সে ওই গ্রামের সামসুল হকের পুত্র।
থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের সরসপুর গ্রামের ইতালি প্রবাসী পারভীন আক্তার তার বাড়িতে “ছায়ানীড় সেবা কেন্দ্র” নামে একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করছেন। ওই সেবা কেন্দ্রে ময়মনসিংহ জেলার আশ্রিত জনৈক বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী গত এক বছর আগে থেকে অবস্থান করছে। সেবা কেন্দ্রে সে সহ বিভিন্ন ধরনের অসহায় প্রতিবন্ধী ২৭ জন বয়স্ক নারী পুরুষ ও শিশু-কিশোর অবস্থান করছে। গত ১২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটা থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে দশটার মধ্যে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে সেবা কেন্দ্রে পাওয়া যায় নি।
বহু খোঁজাখোঁজির পর ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবেশী কাজলের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে ফোন করে জানান, ধর্ষিতা তাদের বাড়িতে আছে। তাকে ধর্ষণকারী ১নং আসামী মোঃ সিয়াম এর দাদার বসত বাড়ির পিছনের জঙ্গল ও পশ্চিম পাশের মাটির পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
দায়েরকৃত মামলায় আসামি তরুন গ্রামের শামসুল হকের পুত্র মোঃ সিয়াম (১৯), একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র খোকন মিয়া (২৫), ও মোঃ কামাল হোসেনের পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর (৩০)। আসামীরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে বসত বাড়ির পিছনে জঙ্গলে ও পরিত্যক্ত মাটির ঘরে রেখে উপরোক্ত ১নং আসামী সিয়াম প্রতিবন্ধীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পালাক্রমে আসামী খোকন মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষন করে। সেবা কেন্দ্রের পরিচালক ও সরসপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের কন্যা পারভীন আক্তার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন জানান, ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি সিয়ামকে গ্রেফতার করে আদালতে এবং ধর্ষিতাকে পরিক্ষা নীরিক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চলছে।
বাদী পারভীন আক্তার লিখিত অভিযোগে জানান, স্থানীয় ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ও আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা এবং আসামিদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন। তবে মজিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বিল্লাল হোসেনে তাকে বিষয়টি অবগত করেন এবং পারভীন আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনার বিস্তারিত জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।