1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন সাবেক সভাপতি

বাবুল রহমান রবিন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

বাবুল রহমান রবিন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় বিএনপির দুর্বল, অযোগ্য নেতৃত্বে গড়ে ওঠা মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি বাতিল, পদবঞ্চিত যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবি তুলেছেন দীর্ঘ কারা নির্যাতিত দলের সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাড. হামিদুল হক ছানা। তার নেতৃত্বে মঙ্গলবার ওই দাবিতে একটি গণমিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আসে। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।

এ সময় জেলা বিএনপির আরেক সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সামাদ আজাদ, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি টি.এম আবু বকর সিদ্দিকসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বঞ্চিত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সাবেক সভাপতি অ্যাড. ছানা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ এক-এগারোর পর অবৈধ পন্থায় সরকার গঠন করে বিভিন্ন মামলায় বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো শুরু করে। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে বর্তমান সভাপতিসহ অন্যরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে শুরু করেন কমিটি বাণিজ্য। সম্প্রতি দলীয় সভাপতি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর নাহিদুজ্জামান নিশাদকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ পাইয়ে দেন। শুধু তাই নয়, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী দলের নেত্রী আরজিনা পারভীন চাঁদনীকে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি এবং আওয়ামীলীগ নেত্রী নাছিমা আকতারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা দিয়ে পদ বঞ্চিতদের তোপের মুখে পড়েন। পরে কৌশলে কমিটি থেকে তাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডা. মইনুল হাসান সাদিক স্থায়ীভাবে বগুড়ায় বসবাস করেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণের জন্য গাইবান্ধায় উপস্থিত হয়ে আবার বগুড়ায় ফেরত যান। নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে তাঁর সাথে বগুড়ায় গিয়ে দেখা করেন। তিনি গত ১৭ বছরে মামলা হামলার শিকার ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিস্ক্রিয় অচেনা ও অনুপ্রবেশকারীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।

হামিদুল হক ছানা আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট বিএনপির জেলা অফিস ভাংচুর হলে জেলা দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হাই বাদি হয়ে ১১৪ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে ২০০ জনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দেয়। এ নিয়ে মামলা থেকে ধাপে ধাপে চলে নাম কাটার বাণিজ্য। বর্তমান সভাপতির অযোগ্য ও দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিভিন্ন উপজেলায় গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট