1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :

বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের শুভ উদ্ভোদন। 

(বগুড়া থেকে মোঃ আশরাফুল ইসলাম)
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

(বগুড়া থেকে মোঃ আশরাফুল ইসলাম)

প্রফেসর ড.এ এস এম আমানুল্লাহ, মাননীয় ভাইচ চ্যান্সেলর,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।  সারা বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে বগুড়া জেলার মাটিডালীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের শুভ উদ্ভোদন করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইচ চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এএসএম আমানুল্লাহ। আজ শুক্রবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে বগুড়া জেলার বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালীতে আঞ্চলিক কেন্দ্রের ভবনের ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র বগুড়ার যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রধান অতিথি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইচ চ্যান্সেলর আঞ্চলিক কেন্দ্রে পৌছার পরে তাকে গার্ড অফ অর্নার প্রদান করা হয় ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠের মাধ্যমে আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্ভোদনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। অতঃপর উপস্থিত সকলের সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পাঠের পর আঞ্চলিক কেন্দ্রের ফলক উন্মোচনের পর প্রধান অতিথি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইচ চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এএসএম আমানুল্লাহ বেলুন উড়িয়ে ও সাদা কবুতর উড়িয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র বগুড়ার কার্যক্রম উদ্ভোদন করেন, উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইচ চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এসএম আমানুল্লাহ ১০ টি কলেজের মধ্যে মূল্যায়ন খাতা বিতরন করেন। পরিশেষে দোয়া পরিচালনা করা হয়,দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক(পরিবহন দপ্তর) মোঃ রফিকুল ইসলাম।

বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্ভোদনের পর বেলা ১০.৪৫ মিনিটে বগুড়া শহরে শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক মন্ডলী, জেলার রোভার স্কাউটস, সংবাদ কর্মী ও সুদী জনের সাথে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন। টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারি মজিবুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ বিল্লাল হোসেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ,সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ,সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সুখান পুকুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ,মোকামতলা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সহ বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্রের আওতাধীন সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক মন্ডলী এবং বগুড়া জেলার রোভার স্কাউটস এর শতাধিক শিক্ষার্থী। বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বগুড়া এর প্রধান সমন্বয়ক,মোঃ রফিকুল ইসলাম-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)পরিবহন দপ্তর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বলেন দেশের উচ্চ শিক্ষার ৭০শতাংশ নির্ভর করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে কর্মমূখী শিক্ষার আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে ও উচ্চ শিক্ষার সিলেবাস গুলোর ক্ষেত্রে কর্মমূখী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্রের দায়িত্বরত মোহাম্মদ আলী-পরিচালক,আঞ্চলিক কেন্দ্র বগুড়া। তিনি বলেন আমি বগুড়ার মানুষ বিগত সাড়ে ১৫বছরে উত্তর বঙ্গে সব ক্ষেত্রেই যে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছিল তার বড় উদাহরন বগুড়া জেলার নাম শুনলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তা বন্ধ করে দিতো। জুলাই-আগষ্টে অনেক রক্তের বিনিময়ে আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের চেষ্টা চলছে। বগুড়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পূর্নভূমি,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যারা বগুড়ার মানুষ ছিলাম, তারা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে কোন কথা বলতে পারি নাই।আজকে বগুড়ায় যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে তার পরিধি হবে ব্যাপক, বগুড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এখন থেকে শুধু বগুড়া নয় উত্তর বঙ্গের উচ্চ শিক্ষা উন্নয়নের একটি মাইল ফলকের দ্বার উন্মোচিত হলো। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ। টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার পূর্বে কোরআন তেলাওয়াত ও ৩৬শে আগষ্টের শহীদের স্মরনে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন-বিগত সাড়ে ১৫ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা ছেলে মেয়েদের শুধু ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি ও গল্পীয় উপন্যাস শিখিয়ে লাভ৷ নেই। প্রত্যেক টি উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষার্থীদেরকে মানব সম্পদে রুপান্তর করতে হবে। এক জন শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা শেষ করে যেনো চাকুরির পিছনে না ছুটে উদ্দোক্তা হিসেবে পরিগনিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ কে পরিচালনা কমিটি নিয়োগে দূর্নীতির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত করা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অডিট কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমেছিল। কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দূর্নীতি একটি কমন ও খোলা মেলা বিষয়ে পরিনত হয়েছিল। জুলাই-আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানের পরে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরে ২ হাজারের অধিক কলেজে কমিটি দিয়েছি,কলেজ পরিচালনা কমিটি যদি আগের মতোই হয় তবে আমরা প্রয়োজনে সকল কলেজ পরিচালনা কমিটির বিলুপ্তি বা কোন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে কলেজ পরিচালনা হবে না এমন পদ্ধতির দিকে যাবো। বগুড়া ছিল সবচেয়ে বেশি অবহেলিত -এজন্য আমরা প্রত্যেক টি কাজে বগুড়া কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি। আজকে বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্ভোদন করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত কারন আগামীর দেশ নায়ক তারেক রহমান সবাই সময় এ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখেন। বগুড়া জেলা একটি পূর্নভূমি-এখানে রয়েছেন হযরত শাহ সুলতানের মাঝার শরীফ,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীর জন্ম ভুমি,বাংলার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম ভূমি এবং আমাদের সবার প্রান প্রিয় নেত্রী, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমরা সবাই প্রিয় নেত্রীর জন্য দোয়া করবো, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সুস্থ রাখেন। পরিশেষে আমি বলতে চাই বিগত সরকার শিক্ষকদের বানিয়ে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক আর আশা করে প্রথম শ্রেণির ফলাফল। আপনাদের যে কোন সমস্যায় আমার দরজা খোলা, নির্দিধায় আপনারা যে কোন সমস্যা নিয়ে আসবেন, আমি সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আলোচনা সভার পর প্রধান অতিথি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট