1. news@www.provatibangladesh.com : বাংলাদেশ : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ
  2. info@www.provatibangladesh.com : দৈনিক প্রভাতী বাংলাদেশ :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন

ভাঙ্গুড়ায় ভেজাল চালতার আচারে সয়লাব বাজার, আপনার সন্তান এই আচার খাচ্ছেনা তো , খেলে এখনই বন্ধ করেন।

মোঃ সুজন আহম্মেদ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুজন আহম্মেদ ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ক্ষতিকারক রং, কেমিক্যাল ও নিম্নমানের গুড় মিশিয়ে হাজার হাজার মেট্রিক টন চালতার আচার তৈরি করে বিক্রয় ও বাজার জাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার পৌর এলাকার সাহাপাড়া, সারুটিয়া বাধপাড়া এলাকায় অন্তত ৮ থেকে ১০ টি ভেজাল চালতার কারখানা রয়েছে মর্মে একটি সূত্র জানান। আর এই সব মুখরোচক খাবার কমলমতি শিশু ও মাঝ বয়সী মেয়েরাই বেশি পছন্দ করে থাকেন। তবে ডাক্তার বলছেন, আচারে ক্ষতিকারক রং, কেমিক্যাল ও নিম্মমানের গুড় মিশিয়ে তৈরি মানব দেহের জন্য কিডনী, হার্ট ও ফুসফুসের চরম ক্ষতি করে।

সূত্র আরো জানান, শীতের আগমন ঘটলে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে শত শত ট্রাক চালতা নিয়ে ভাঙ্গুড়ার পৌর সদরের সাহাপাড়া এলাকায় নিয়ে আসেন । সেখানে ওই আট /দশটা কারখানার মালিকরা চালতো গুলি ভাগাভাগি করে নামমাত্র দাম দিয়ে কারখানায় নিয়ে যায় । সেখানেই চলে কারিশমা। তালাবদ্ধ কারখানায় নিম্নমানের ভেজাল গুড় অথবা ভেজাল চিনি, মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক রং মিশিয়ে জাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল চালতার আচার। এরপর সেইগুলি ঠান্ডা করে প্যাকেটজাত করে ঢাকা রাজশাহী, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, বগুড়া সহদেশের বিভিন্ন এলাকায় বাস ও ট্রেন যোগ প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজার হাজার টন চড়া ধামে বিক্রয় করে থাকেন। চালতার আচার শিশুরাই বেশি পছন্দ করে খেয়ে থাকেন। সুধী মহলের প্রশ্ন আপনার সন্তান এই ভোজাল খাবার খাচ্ছে না তো ? খেলে এখনই থামান। যা হোক, এই খাদ্যে ভেজাল ব্যবসার মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ওই এলাকার অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। কেউবা কোটিপতির বনে গিয়েছেন। এই ভেজাল ব্যবসার বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিরা জানলেও সে বিষয়ে কেউ নিউজ করেন নি বা লিখে প্রকাশ করার সাহস পান নি তাদের ফ্যাসিবাদী আচারণের জন্য। এ বিষয়ে ওই এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুলের একাধিক আত্মীয়-স্বজন এই ভেজাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার আশ্রয় প্রশ্রয়ে ওই খাদ্যে ভেজাল ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন সংঙ্গবদ্ধ ওই চক্রটি।

তবে সূত্র বলছেন, এইভাবে শিশু খাদ্যে ভেজাল চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম অপুরনীয় ক্ষতি সাধন হবে।

যেহেতু মেডিক্যাল সাইন্স বলছেন, ক্ষতিকারক রং, কেমিক্যাল ও নিম্মমানের গুড় মিশিয়ে তৈরি চালতা মানবদেহের জন্য কিডনী, হার্ট ও ফুসফুসের চরম ক্ষতি করে। তাহলে প্রশাসনের এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সময় এসেছে এই ধরণের ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

মোঃ সুজন আহম্মেদ 

ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট